হঠাৎ করেই জনজীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস। রাস্তায় চলাচল থেকে শুরু করে বাজার-গৃহস্থালি সব ক্ষেত্রেই জনগণ পড়ছে দুর্ভোগে। স্বল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো মহানগরীর রাস্তাঘাট কোমরপানিতে ডুবে যায়। জলাবদ্ধতা আর ভাঙাচোরা রাস্তার খানাখন্দে চলতে গিয়ে নগরবাসীর ভোগান্তির সীমা থাকছে না। সেই সঙ্গে নগরজুড়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। সবে মিলে কয়েকটি সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এমন রাস্তায় হাঁটারও উপায় নেই। চট্টগ্রামসহ পার্বত্যাঞ্চলে রাতের ঘুমও কেড়ে নিয়েছে পাহাড়ধসের আতঙ্ক। সেই সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যাদুর্গত স্থানে দেখা দিয়েছে ত্রাণ সংকট। এসবের প্রভাবে সারা দেশেই চালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যে দেখা দিয়েছে ঊর্ধ্বগতি। বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই। সংকট নিরসনে নেই কোনো সমন্বয়ও। কয়েক দিন ধরেই জলজট আর যানজটের ভয়াবহ যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীর যেন মুক্তি নেই। রাজধানীর অফিসমুখী লোকজন ঘর থেকে বের হয়েই বিপদে পড়েন। সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে সৃষ্টি হয় তীব্র জলাবদ্ধতা। অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন চালকরা। এ ছাড়া পানি জমে থাকায় অনেক স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এসব স্থান দিয়ে যানবাহনকে সাবধানে চলতে হয়। একটু অসাবধান হলেই নোংরা পানিতে কুপোকাত। এসব কারণে কয়েক দিন ধরেই নগরবাসীর ভোগান্তির সীমা নেই। অটোরিকশা ও ট্যাক্সিচালকরা যেতে রাজি হন না অনেক গন্তব্যেই। বাসে ওঠা হয়ে পড়ে দুরূহ। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অফিস শেষেও একই ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঘরমুখী মানুষকে। প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রামে। টানা বৃষ্টিতে রাজপথগুলো যেন নদী হয়ে ওঠে। এমন এলাকা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়েছিল, যেখানে জলাবদ্ধতা হয়নি। অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরে এটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই জলজট ও যানজটে ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে। রাজপথের কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও আবার কোমরসম। কিন্তু এবার হঠাৎ করেই এ ভোগান্তি উঠেছে চরমে। যেসব সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, সেখানে ভোগান্তির অন্ত থাকছে না। পানির নিচে গর্ত থাকায় যাত্রীসহ রিকশা উল্টে পড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে অহরহ। রাজধানীজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি নগরবাসীর জীবনে ভোগান্তির নতুন মাত্রা যোগ করে। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রধান দায়িত্ব পালনকারী ওয়াসার পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের বিশেষ কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
ভোগান্তির শেষ নেই : খিলক্ষেতের প্রধান রাস্তা দেড় মাস ধরেই জলমগ্ন। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে ভারি বৃষ্টিতে খিলক্ষেতে বাজার থেকে বটতলা পর্যন্ত রাস্তায় কোমরপানি জমে গেছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ওই দিন দুপুর পর্যন্ত ওই সড়কে রিকশা চলাচলও বন্ধ ছিল। এ ছাড়া রামপুরা ব্রিজের পর থেকে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের জন্য মালিবাগের পুরো এলাকাতেই নাজুক পরিস্থিতি। এর মধ্যে কোথাও কোথাও হাঁটুপানি জমে থাকতেও দেখা যায়। শান্তিনগরের অবস্থাও একই রকম। নয়াপল্টন আর কারওয়ান বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অল্প বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে যানজটের সৃষ্টি হয়। ইস্কাটন, পান্থপথ, রাজাবাজার ও রায়ের বাজারে ভিতরের প্রায় সব গলিতেই পানি জমে থাকতে দেখা যায় বৃষ্টি হলে। কোথাও কোথাও পানি ঢোকে ভবনের নিচতলায়ও। ওয়াসার সংস্কার ও মেট্রোরেলের প্রস্তুতির কাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে মিরপুরবাসী এমনিতেই ভোগান্তিতে পড়ে। বৃষ্টি হলে জলজটে সেই ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায় মাঝে মাঝে। মিরপুর ১২ নম্বরের ই-ব্লক, কালশী রোড, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কাজীপাড়া, আগারগাঁও ও তালতলার বিভিন্ন রাস্তা পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা যায় বৃষ্টি হলেই। বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরীর মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, ফকিরাপুল, আরামবাগ, গুলশান, বনানী, মহাখালী, উত্তরা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পুরান ঢাকার বংশাল, মালিটোলা, সদরঘাট, লক্ষ্মীবাজার, কুলুটোলা, হেমেন্দ্র দাস রোড, সূত্রাপুর, কাগজিটোলা, রূপচান লেন, গেন্ডারিয়া, মিলব্যারাক, আরসিন গেটসহ আশপাশ এলাকার অলিগলিতে। ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ লাইন উপচে পড়ে মলমূত্র। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, পোস্তগোলা, সায়দাবাদ, মুগদা, বাসাবো, কমলাপুর, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া ও মধ্যবাড্ডায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ধস আতঙ্ক : ১১ থেকে ১৩ জুনের ভারি বর্ষণে অন্তত ১৬০ জনের মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও মৌলভীবাজার জেলায়। এর মধ্যে রাঙামাটিতেই মৃত্যু হয় ১২০ জনের। সর্বশেষ মঙ্গলবার কক্সবাজারে পাঁচ এবং ২১ জুন সীতাকুণ্ডে পাঁচজনের মৃত্যু হয় পাহাড় ও ভূমিধসের কারণে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল ১৬ জুন পাহাড়ধসের ‘ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ’ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার কথা জানান। সে সময় তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এক মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে ওই কমিটি। কমিটির প্রধান সত্যব্রত সাহা পরে জানিয়েছিলেন, পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন, গাছপালা কেটে পাহাড় ন্যাড়া করা, যত্রতত্র বসতি স্থাপন ও পুনর্বাসন, ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল, ভূমিধসপ্রবণ পয়েন্ট চিহ্নিত করাসহ সমস্যা সমাধানে সবার সঙ্গে কথা বলে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ প্রতিবেদন দেবেন তারা। কিন্তু কমিটি গঠনের পর এক মাসে মাত্র একটি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন সংশ্লিষ্টরা। সুপারিশসহ তাদের প্রতিবেদন দিতে এখনো অনেক কাজ বাকি। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব অঞ্চলের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে পাহাড়ধসের আতঙ্ক।
বন্যায় ত্রাণ সংকট : উজানের ঢল ও দেশের অভ্যন্তরে ভারি বর্ষণে সিলেট, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, বগুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হয়েছে। পানিবন্দী হয় ৫ লক্ষাধিক লোক। হাজার হাজার পরিবার বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেয়। কাগজে কলমে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ রাখা হলেও সংকট রয়েছে প্রতিটি এলাকায়। সিলেটে বন্যায় ৮ উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার ও ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩০ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে এ বন্যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ২০৪টি। মৌলভীবাজার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৭টি উপজেলার মধ্যে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়িতে। বন্যায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; বন্ধ রয়েছে ২৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৭৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ৮১টি প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। সারিয়াকান্দি বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে ৪ হাজার পরিবার। গাইবান্ধায় বন্যার পাশাপাশি নদী ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলায় ৪০টি ও সদর উপজেলায় ৩৫টি পরিবার গৃহহীন। প্লাবিত এলাকায় ১১ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নিচু এলকা প্লাবিত হয়েছে। নদী ভাঙনে ১ হাজার ৬৫৬টি পরিবার বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। কুড়িগ্রামের সদর, রাজীবপুর, রৌমারী, চিলমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট উপজেলা আংশিক বন্যাকবলিত। এর মধ্যে চারটি উপজেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯ হাজার ২৫৭টি পরিবার পানিবন্দী। কক্সবাজারের সদর উপজেলার ৪টি, রামু উপজেলার ১১টি ও চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। আগাম বন্যা, অতিবৃষ্টিতে হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ও আউশ ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে ১৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লাগবে বলে প্রাথমিক হিসাব করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সবজিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি : টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে ঢাকার বাজারে সবজির দর আগের চেয়ে বেড়েছে। বড় বাজারের তুলনায় ছোট বাজারে দাম বেশি বেড়েছে। রাজধানীর অন্তত পাঁচটি বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু কিছু সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আবার কিছু কিছু সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে একটি কুমড়া তারা কিনেছেন ৪০ টাকায়। এখন একটি কুমড়া তাদের কেনা পড়েছে ৭০ টাকা। আবার খুচরা বাজারে গাজরের কেজি ৮০ টাকা। বড় বাজারগুলোর তুলনায় ছোট বাজারে সবজির দাম বেশি বেড়েছে। গ্রাম থেকে পণ্য আসতে দেরি হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁও, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগান বাজারে ১ কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। গাজর ৮০ টাকা। ঢেঁড়স ও বেগুন ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচ কোথাও ১৪০, কোথাও ১২০ টাকা। এ ছাড়া শাক-সবজির দামও বেড়েছে। ১ আঁটি পুঁইশাক গত সপ্তাহে ছিল ১৫ টাকা, এ সপ্তাহে ২০ টাকা। অন্য শাকের দামও বেড়েছে। তবে রসুনের দাম বাড়েনি। পিয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আলু, পটোল, শসা, বরবটি ও পেঁপের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
জলাবদ্ধতার দায়িত্ব নিল না ওয়াসা : পৃথিবীর কোনো দেশে পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব ওয়াসার কাঁধে নেই। শুধু ঢাকা ব্যতিক্রম। রাজধানীর চারপাশের খাল দখল, নিম্নাঞ্চল উঁচু হয়ে যাওয়া এবং অতিবৃষ্টিকে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। গতকাল ওয়াসা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাকসিম এ খান বলেন, ১৯৮৯ সালে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের ব্যর্থতার কারণে ওয়াসাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনা শুরু হলে কর্তৃপক্ষ তারা পারবে না এরকম মত দেয়। পরবর্তীতে ওয়াসার কাঁধেই ন্যস্ত হয় পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব। কিন্তু রাজধানীর চারপাশের খাল, নদী দূষণ আর দখলে বন্ধ হয়ে গেছে পানি অপসারণ। আর বৃষ্টির কারণে চারপাশের নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে আছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিমাণে বৃষ্টি হলে তা নিষ্কাশন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
আগামী বছর তিন ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশন করা হবে দাবি করে তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে প্রবল বৃষ্টি হলেও রাজধানীতে তিন ঘণ্টার বেশি পানি আটকে থাকবে না। ২০২৫ সাল নাগাদ রাজধানীতে শতভাগ স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পানি, স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্লান করা হয়েছে। তবে মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন সমন্বয়ের দায়িত্ব নির্দিষ্ট কোনো সংস্থাকে দেওয়ার পক্ষে তিনি মত দেন। রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ কমাতে সেবাদানকারী সব সংস্থার সমন্বয় জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তাকসিম এ খান। সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসানসহ ড্রেনেজ সার্কেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।