রাজনৈতিক বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের উডি দ্বীপে দিন দুয়েক আগে সিনেমা হল চালু করেছে চীন। দ্বীপটি চীনাদের কাছে ইয়ংজিং আইল্যান্ড নামে পরিচিত। ২০০ সেনা এবং দ্বীপের অধিবাসীরা উদ্বোধনী শোতে উপস্থিত ছিলেন। এ মাসের শুরুর দিকে এই দ্বীপের খুব কাছেই চীনকে সতর্কতা বার্তা দিতে ঘুরে গিয়েছে একটি মার্কিন রণতরী।
দুনিয়ায় সিনেমা হলের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক চীনের। এখন দেশটি রাজনৈতিক বিরোধপূর্ণ জলসীমাতেও নিজেদের সিনেমা হল স্থাপন করছে। ইয়ংজিং আইল্যান্ড ১৯৭৪ সাল থেকে চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম উভয়ই এই দ্বীপের মালিকানা দাবি করে।
দুনিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ দক্ষিণ চীন সাগর কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ইয়ংজিং আইল্যান্ডে চালু হওয়া প্রেক্ষাগৃহে উদ্বোধনী শোতে দেখানো হয়েছে একটি চীনা প্রামাণ্যচিত্র ‘দি এটারনিটি অব জিয়াও উয়ুলু’। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সিনেমা হলটি স্থাপন করেছে হাইনান মিডিয়া গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জিয়াওজিং গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন হলে অন্তত একটি করে সিনেমা দেখানো হবে, যাতে দ্বীপের সেনা এবং অধিবাসীরা বিনোদন পেতে পারেন।
হাইনান মিডিয়ার আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা দুটি মোবাইল প্রজেকশন সিস্টেম কিনেছেন, যা দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের অন্যান্য দ্বীপের বাসিন্দাদের চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে সিনেমা দেখানো হবে। তবে এই বাসিন্দা কারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারণ দক্ষিণ চীন সাগরে উল্লিখিত দ্বীপগুলোয় মূলত চীনের সেনাদেরই অবস্থান, সেখানে সাধারণ নাগরিকদের কোনো অস্তিত্ব নেই।