তাঁরা এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। তাদের সকলের বয়স ১৮ থেকে ৬৬ বছর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯ হাজার ফুট উঁচুতে ফুটবল খেললেন তারা। যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়া কঠিন, সেখানেই ৯০ মিনিট দাপালেন ২২ জন মহিলা ফুটবলার।
আফ্রিকার উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে নজির গড়ার দিনে মুখোমুখি হয়েছিল ভলক্যানো এফসি এবং গ্লেসিয়ার এফসি। প্রায় ১৯ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে নব্বই মিনিট ধরে ফুটবল খেললেন ৩০ জন মহিলা ফুটবলার। ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেও ফুটবলাররা বলছেন, তাদের এই উদ্যোগ ক্রীড়া জগতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। একই খেলা অথচ পুরুষ ও মহিলাদের রোজগার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। পারফরম্যান্স করে গেলেও দূরত্ব প্রতিদিনই বাড়ছে।
এর প্রতিবাদ জানাতে ৩০ জন ফুটবলার সাত দিন ট্রেক করে উঠেছিলেন তানজানিয়ার কিলিমাঞ্জারোতে। ওপরে ওঠার যুদ্ধের পর তাঁরা পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে দেখেন খেলার সামান্য জায়গা নেই। তবুও, ভাঙা পাথর আর ছাইয়ের ঢিবিকে সামলে তারা মেতে ওঠেন ৯০ মিনিটের ম্যাচে। সিরিয়া, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, পেরুর মতো পৃথিবীর ২২টি দেশের ফুটবলাররা গিয়েছিলেন কিলিমাঞ্জারোতে।
সাধারণত, বলিভিয়ার রাজধানী লা-পাজের ১২ হাজার ফুটের ফুটবল মাঠে খেলতে গিয়েই নাকাচি-চোবানি খায় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের মতো বিখ্যাত দলগুলো। ১২ হাজারেই অক্সিজেনের সমস্যায় সবার মাথাব্যথা। সেই তুলনায় ১৯ হাজার ফুটের কিলিমাঞ্জারোয় অক্সিজেনের অভাব আরো অনেক বেশি। তবুও হাল ছাড়েননি এই যোদ্ধারা। অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়েও তারা বুঝিয়েছেন ছেলেদের থেকে মেয়েরা কম নয়।
তবে এখানেই থেমে যেতে রাজি নন তারা। এবার এই যেদ্ধারা গ্রহের সর্বনিম্ন স্থান জর্ডনের মরুসাগরে খেলতে চাইছেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩০০ ফুট নিচে নেমে ক্রীড়া জগতকে আরো একবার প্রাচীর ভাঙার বার্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই মহিলা ফুটবলাররা।