সেরা ছন্দে থাকার সময় ১৪৫ কিমির আশেপাশে নিয়মিত বোলিং করতে পারেন তাসকিন। কিন্তু গত কিছুদিনে প্রায়শই সেই গতি নেমে গেছে ১৪০ কিমির নিচে। সঙ্গে নিয়ন্ত্রণও কমে গেছে খানিকটা। কমেছে তাই কার্যকারিতা।
ফিটনেস ট্রেনিং চলার এই সময়টায় পেস বোলারদের নিয়ে আলাদা করে কাজ করছেন ওয়ালশ। তাসকিনের সঙ্গে সেশন জুড়ে থাকে গতি আর লাইন-লেংথের ধারাবাহিকতা।
“তাসকিন চেষ্টা করছে আরও ধারাবাহিক হতে। আমার মনে হয়েছে সে যেখানে চায়, সেখানে বল ফেলতে পারছে না। আমরা চাই সে জোরে বল করুক। কারণ তার সহজাত গতি আছে এবং সেটা ব্যবহার করতে পারে।”
“তবে তার নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন থাকতে হবে। বলকে নিয়মিত সঠিক জায়গায় রাখতে হবে যেন গতিটা কাজে লাগে।”
গত নিউ জিল্যান্ড সফরে কামরুল ইসলাম রাব্বির বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন ওয়ালশ। রাব্বি পরে ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে ভালো করতে না পারায় জায়গা হারান দলে।
চলতি ক্যাম্পে রাব্বির শেখার আগ্রহ দেখে খুশি ওয়ালশ। জায়গা নিয়ে পেস বোলারদের প্রতিযোগিতাটাও উপভোগ করছেন বোলিং কোচ।
“রাব্বির সঙ্গে আমাদের আরেকটি কাজ করতে হবে। সে ভালো করতে দারুণ আগ্রহী। ছেলেরা অনুধাবন করতে পেরেছে, দেশের বাইরে খেলা হলে ওরা আরেকটু বেশি সুযোগ পাবে।”
“তরুণ ফাস্ট বোলারদের দলে ঢোকার এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। ওরা জানে ভালো করলে ওরা খেলতেই থাকবে। আমরা যদি ওদের মধ্যে এই প্রতিযাগিতা ধরে রাখতে পারি, একইসঙ্গে ওদের শেখাতেও পারি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেটি হবে দারুণ!”
সেই দারুণ দিনের প্রতীক্ষায়ই আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট!