কাতার সংকট যেন ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠছে। আর তারই জের ধরে এবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করে কাতার, ইয়েমেন, লিবিয়াকে সহায়তা করছে এমন দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন এবং মিসর। সেই সন্ত্রাসী তালিকায় এবার যোগ করা হয়েছে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম।
এই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাতারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে সৌদি জোটের অভিযোগ, তিনজন কাতারি এবং একজন কুয়েতিসহ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় আল নুসরা ফ্রন্ট এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য ফান্ড গঠন করে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে।
জানা গেছে, যে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসী তালিকায় রাখা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে তিনটি ইয়েমেন, বাকিগুলো লিবিয়াভিত্তিক। ইয়েমেনের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- আল-বালাগ চ্যারিটি ফাউন্ডেশন, ইহসান চ্যারিটেবল সোসাইটি, রাহমা চ্যারিটেবল অরগ্যানাইজেশন। এছাড়া লিবিয়ার প্রতিষ্ঠনগুলো- বেনগাজি রিভোল্যুশনারিস শূরা কাউন্সিল, আল-সারায়া মিডিয়া সেন্টার, বোশরা নিউজ এজেন্সি, রাফাল্লাহ সাহাতি ব্রিগেড, নাবা টিভি, তানাসুহ ফাউন্ডেশন ফর দাওয়া, কালচার অ্যান্ড মিডিয়া।
এদিকে যে নয় ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন জন কাতারের নাগরিক হলেন- খালিদ সায়েদ আল-বাউনেইন, শাকের জুম্মাহ আল-শাহওয়ানি, সালেহ বিন আহমেদ আল ঘানিম। এছাড়া আরো আছেন একজন কুয়েতের নাগরিক- হামিদ হামাদ হামিদ আল আলি। তিনজন ইয়েমেনের নাগরিক- আহমেদ আলি আহমেদ বারাউদ মোহাম্মেদ, আবদুল্লাহ মোহাম্মেদ আল ইয়াজিদি, বাকের আল দাবা। দু’জন লিবিয়ার নাগরিক-আহমেদ আব্দ আল- জাবেল আল হাসনায়ি ও আল সাদি আবদুল্লাহ ইব্রাহিম বুখাজেম।