টানা ভারি বর্ষণে রাজধানীসহ সারাদেশ জলে নিমগ্ন। ক্রমেই বৃষ্টি বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। অতি বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ। দেশের অনেক এলাকায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ সব বিভাগেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ঝুঁকি বাড়ছে পাহাড়ে বসবাসকারীদের। গত মাসের মাঝামাঝি পাহাড় ধসে দেড়শ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এরপর থেকে নিয়মিতই পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। আজ মঙ্গলবার সকালেও কক্সবাজারে পাহাড় ধসে চার জনের প্রাণহানি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে আরও দুই দিন দেশে ভারি বৃষ্টির অব্যাহত থাকবে।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও বাতাসের তারতম্যের কারণে সাগর উত্তাল। মংলা ও পায়রা এবং কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ। নদীর তীরবর্তী শত শত বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জনদুর্ভোগ এবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মাত্র ৫৪ দিনে চট্টগ্রাম ছয়বার জলাবদ্ধতার শিকার হয়। গত দুইদিন ধরে টানা বর্ষণে নগরের প্রায় সব এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অতীতে পানি উঠেনি এমন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে সমুদ্র লাগোয়া পতেঙ্গা শুধু নয়, অফিসপাড়া আগ্রাবাদ ও বাণিজ্যকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর নিম্নাঞ্চল ডুবে পানিতে থই থই। জলবন্দী সড়কে কেউ নৌকায়, কেউ বয়ায়, কেউবা ভেলায় ভেসে গন্তব্যে পৌঁছার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন। ভরা জোয়ার ও কাপ্তাই বাঁধের বাড়তি পানিপ্রবাহের কারণে খাদ্যশস্যবাহীসহ বিভিন্ন জাহাজ পণ্য খালাস করতে পারছে না।