গাজীপুরে অপহৃত সেরেস্তাদার উদ্ধার, এক মহিলা গ্রেফতার

Slider গ্রাম বাংলা

17757292_1878978892384850_24861530911429747_n

 

 

 

 

 

 

গাজীপুর:জেলা আদালতের সেরেস্তাদার আব্দুর রহিমকে অপহরণের ৩০ ঘন্টা পর ঢাকার উত্তরা থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত মহিলার নাম শাহনাজ আক্তার(৩৫)। তার স্বামীর নাম ওয়াহিদুজ্জামান। বাড়ি নরসিংদীর বেলাব থানার খামারচর গ্রামে।

সোমবার গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে  আসামী ও ভিকটিমকে হাজির করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা  জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপহরণকারীদের সঙ্গে বাদী পক্ষের নাটকীয় সমঝোতায় ফাঁদ পেতে ঢাকার উত্তরা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত আসামী শাহনাজকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামী গ্রেফতারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আব্দুর রহিম অপহরণের পর রহিমের সহকর্মী  শাহীন মিয়া অপহরণকারীদের চাহিদামত বিকাশে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। এই টাকা ও অপহরণের ঘটনা শাহীন, ভিকটিম আব্দুর রহিমের পরিবার বা পুলিশকে জানায়নি। একই সঙ্গে অপহরণের পর রহিমের সহকর্মী খালেদ মোশারফও শাহীনের সঙ্গে যোগশাযশ করে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফলে পুলিশ ভিকটিম আব্দুর রহিমের দুই সহকর্মী শাহীন ও খালেদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত: শনিবার সন্ধ্যায়  গাজীপুর জেলা জজ আদালতের সেরেস্তাদার আব্দুর রহিমকে অপহরণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার তাঁর মেয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলা জজ আদালতের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে অফিস থেকে বের হন আব্দুর রহিম। এরপর বাসায় ফেরার পথে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে আব্দুর রহিম তাঁর মুঠোফোন থেকে কল করে শাহীন আলমকে অপহৃত হওয়ার কথা জানান। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা আব্দুর রহিমকে মারধর করলে তিনি তাঁদের ১ লাখ টাকা দিতে বলেন। এ সময় তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে অপহরণকারীরা ছয়টি বিকাশ নম্বর দেয়। প্রতিটি নম্বরে ১০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর অপহরণকারীরা আব্দুর রহিমকে না ছেড়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকে আব্দুর রহিমের মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীও গ্রেফতার হয়েছে। অচিরেই এই মামলার অন্যান্য আসামী গ্রেফতার হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *