বৃষ্টি বেহাল অবস্থা সকলেরই। মেঘলা আকাশে রোদের দেখা নেই। বাইরে বৃষ্টি আর গোটা বাড়ি জুড়েই স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। এই সময় জানা-কাপড়ও ভালভাবে শুকোতে চায় না। ফলাফল জামা-কাপড়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। তবে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা নিচের এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারলেই দেখবেন এই বর্ষায় জামা-কাপড় থাকবে ভাল-
১। বৃষ্টিতে পোশাকে কাদা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ডিটারজেন্টে ব্যবহার না করে প্রথমে কাদা লাগা স্থানগুলো ধুয়ে নিন। এরপর পুরো কাপড় আলাদাভাবে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে পুরো কাপড়ে দাগ আর লাগবেনা।
২। বৃষ্টিতে যে কোনো রঙের কাপড় ভিজে গেলে ভালোভাবে ধুয়ে নিন যেন ওই কাপড়ে দাগ না পরে।
৩। বৃষ্টির দিনে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় কাপড় শুকোতে অনেক বেশি সময় লাগে। তারপরও ভালোভাবে কাপড় শুকোনোর চেষ্টা করুন। কাপড় ভালো করে শুকোনোর পর ইস্ত্রি করুন।
৪। আলমারিতে কাপড় রাখার সময় কাপড়ের ফাঁকে ফাঁকে ন্যাপথোলিন ব্যবহার করুন। এটা ছত্রাক থেকে বাঁচিয়ে কাপড়কে সুরক্ষিত রাখবে।
৫। বর্ষায় ঘরের ভেতর কাপড় শুকানো থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার চামড়ায় বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এগুলো শিশুদের জন্য বেশি ক্ষতিকর।
৬। বারান্দায় যেখানে বৃষ্টির পানির ছাঁট আসে না সেদিকে কাপড় রাখুন। রোদ উঠলে রোদে দিন।
৭। কাপড় ২-৩ দিন ভেজা থাকলে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে বাজে গন্ধ বের হয়। তাই কাপড়ে গন্ধ হলে ডিটারজেন্ট এবং অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড দিয়ে আবার কাপড়টা ধুয়ে নিন।
৮। রোদ উঠলে ভেজা কাপড় শুকাতে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের আলমারি, ওয়্যারড্রপ, সব খুলে দিন। একইসঙ্গে দরজা জানালা সব খুলে দিন। তাহলে গুমোটভাব দূর হয়ে যাবে। প্রয়োজনে আলমারির কাপড় বিছানায় মেলে দিয়ে ফ্যান ছেড়ে দিন।
৯। আলমারির ভেতরে খবরের কাগজ রাখুন আর্দ্রতা টেনে নিবে। চাইলে কয়েকটা চকও রাখতে পারেন।
১০। কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে চন্দন কাঠ রাখুন তাতে কাপড় থেকে সুগন্ধ ছড়াবে। গায়ে মাখার সাবান, পারফিউমের বোতল কাপড়ের মাঝে রাখার চেষ্টা করুন। এতেও কাপড় সুগন্ধযুক্ত থাকবে।