রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে আগামী ৭ ডিসেম্বর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সুনির্দিষ্ট ৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেয়।
গত ২২ আক্টোবর অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষে আজ ১১ নভেম্বর আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করে দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী ও প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন হাছেন আলীর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাসান আলীর অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আব্দুস শুকুর খানকে রাষ্ট্রীয় খরচে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ২৪ আগস্ট হাসান আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়ে পলাতক এ রাজাকার কমান্ডারকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয় প্রসিকিউশন।
তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, আটক ও নির্যাতনের ৬টি অভিযোগ আনা হয়। এতে ২৪ জনকে হত্যা, ১২ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ১২৫টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার ছিল হাসান আলী। সে সময় সে তাড়াইল থানা এলাকায় ‘রাজাকারের দারোগা’ নামে পরিচিত ছিল। তবে সে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাছিহাতা গ্রামে বসবাস করতে থাকে। তার বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।