ব্যাট পাল্টে ফেললে কী আগের মতো ঝড় তুলতে পারবেন ধোনি? ফাইল ছবি‘ফিনিশার’ ধোনি কি আর ম্যাচ শেষ করে আসতে পারবেন? প্রশ্নটা তুলতেই হচ্ছে। আইসিসি যে তাঁর ব্যাটের ধার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে! নতুন নিয়মে আগের চেয়ে কম পুরু ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতে হবে ভারতের সাবেক অধিনায়ককে। ছক্কা-চার হাঁকাতে তাই এখন থেকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে তাঁকে। এই ‘এখন’ অবশ্য কাগজে-কলমে এখনো আসেনি। আগামী ১ অক্টোবর থেকে নতুন নিয়মকানুন চালু হচ্ছে ক্রিকেটে। ব্যাটে-বলে ভারসাম্য আনতেই নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। আর প্রথমেই পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাটসম্যানদের অন্যায় সুবিধা কমিয়ে আনার। এত দিন ব্যাটসম্যানরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাট নিয়ে নামতেন মাঠে। ফলে যখনই প্রয়োজন হতো ভারী ও পুরু ব্যাট দেখা যেত তাঁদের হাতে। ব্যাট যত পুরু, বল তত দ্রুত ছুটবে বাউন্ডারির দিকে। কিছুদিন ‘মঙ্গুজ’ নামের একটি ব্যাটও ব্যবহার করেছেন অনেকে। লম্বা হাতলের খানিকটা খাটো আকৃতির এই ব্যাট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে সুবিধা হতো বেশ। এমসিসি সেসব দিন ভুলিয়ে দিতে চাইছে। ব্যাটের পুরুত্বের (ব্যাটের সবচেয়ে মোটা অংশ) সীমা ৪০ মিলিমিটার (মিমি) নির্ধারণ করে দিয়েছে তারা। ফলে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো যাঁরা অপেক্ষাকৃত ভারী ব্যাট নিয়ে নামতেন, তাঁদেরও সময় এসেছে ব্যাট পাল্টানোর। বর্তমানে ৪৫ মিমি পুরুত্বের ব্যাট করেন ধোনি। তবে কাইরন পোলার্ড ও ক্রিস গেইল তাঁর চেয়ে এগিয়ে। ৫০ মিমি (অর্থাৎ প্রায় দুই ইঞ্চি!) পুরু ব্যাট নিয়ে নামতেন এ দুজন। বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স কিংবা স্টিভ স্মিথরা অবশ্য এর মধ্যেই ব্যাট পাল্টে ফেলেছেন। সবাই এখন ৪০ মিমির চেয়েও কম পুরুত্বের ব্যাট ব্যবহার করেন। পোলার্ডও সেই পথ ধরেছেন এরই মাঝে। তবে ধোনি নিজের পুরোনো ব্যাট নিয়েই মাঠে নেমেছেন এত দিন। শ্রীলঙ্কা সিরিজে সেটা বদলাবেন, নাকি একেবারে অক্টোবরের পরেই বদলানোর চিন্তা মাথায় আনবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।