আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজ।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পদচারী–সেতুর কাছে চলে যায়। পুলিশ এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আজিমুল হক বলেন, শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের তাঁরা শহীদ মিনার অথবা জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় যেতে বলছিলেন। তখন শিক্ষার্থীরা ১০ মিনিট সময় চান। কিন্তু তাঁদের আধা ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এরপর একদল ‘উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী’ শাহবাগ মোড়ে রাস্তা বন্ধ করতে চাইছিলেন। এ জন্য তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করা হলেও তিনি সংখ্যা জানাতে পারেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা আজিমুলের ভাষ্য, মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয়, সে জন্য শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। আগে কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় ঠিক করা হয়। এর মধ্যে মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর। অনার্স তৃতীয় বর্ষের শুরু হবে ১৬ অক্টোবর। ডিগ্রি প্রথম ও তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৪ নভেম্বর। এভাবে আরও কয়েকটি পরীক্ষার সময় ঠিক করা হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, মৌখিকভাবে নয় লিখিতভাবে রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আর এই ঘোষণা আসতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে।