মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে থাই সেনাবাহিনীর মানাস কংপেন নামের এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। মানব পাচার ছাড়াও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০৩ জন আসামির বিরুদ্ধে বুধবার রায় ঘোষণা করছে থাইল্যান্ডের একটি আদালত। প্রসঙ্গত, মানাস কংপেন মানবপাচারকারীদের নিরাপদ রুট থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
এদিকে, বিস্তারিত রায় পেতে আরো কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তবে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজনীতিক এবং পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদের আন্তঃদেশীয় অপরাধ, বলপূর্বক আটকে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া এবং ধর্ষণের দায়ে মতো অপরাধ সংঘটনের দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে থাই-মালয়েশীয় সীমান্ত এলাকার জঙ্গলে গণকবর শনাক্তের পর পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাস কংপেন, পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা রয়েছেন। ওই ঘটনার পর মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় পাচার করার এবং আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়গুলো সামনে আসে। ওই বছরই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাচারকারীরা বিভিন্ন ক্যাম্পে শরণার্থীদের জিম্মি হিসেবে আটকে রাখে এবং স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়ে না। অনেকেই শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হন। তখন সেইসব শরণার্থীদের মানবেতর ক্যাম্পে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় পাচারকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত গণকবর শনাক্ত হওয়া এবং ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি থাইল্যান্ড।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।