ফুল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন খুনের ঘটনায় সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম ও তিন কনস্টেবলসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইসমাইলের স্ত্রী লিমা বাদী হয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলা করেন।
আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের জন্য সাভার মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোরুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তরিকুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী মোসাম্মৎ লিমার জবানবন্দী নেওয়ার পর মামলাটি আমলে নিয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ইসমাইল হত্যা মামলায় বিরুলিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তরিকুল ইসলাম ছাড়া কনস্টেবল মো. বাবুল হোসেন, মো. মহাসিন মিয়া ও মো. শামীম হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাভার এলাকার বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক, মো. ইউসুফ আলী , ফিরোজ আলী, মো. আরিফ হোসেন, মো. আজিজুল হক, মাসুম উদ্দিন , নিজাম হোসেন , মো. মিলটন, হাসান আলী। এছাড়া অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে সাত জনকে আসামি করা হয়।
এই ব্যাপারে এস আই তরিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি বিরুরিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী আলামিন গ্রেফতার করতে যাই। সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এরপর পুলিশের পাল্টা গুলিতে ইসমাইল নিহত হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৮ জুন রাতে ইসমাইল হোসেনকে সাভার থানার শ্যামপুরে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। ওই রাতে লিমা খবর পান, তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তার স্বামীর লাশের সন্ধান পান। তার মামলা নেয়নি সাভার থানা। পরে তিনি হত্যার অভিযোগে আদালতে ৩০২/৩৪ ধরায় মামলা করেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই হত্যা মামলায় আদালতের কোন কাগজপত্র আমি পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।