ডা: অনামিকা সরকার
সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
টঙ্গী(গাজীপুর) : ইতিহাস ও ঐতিহে্যৃর ভাস্কর অতি প্রাচীন শহর টঙ্গী। শিল্প নগরী বলেন আর রাজধানী ঢাকার দ্বিতীয় ড্যান্ডিই বলেন টঙ্গীকে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বেও মানুষও চেনে। অতি সম্প্রতি টঙ্গী শহর গাজীপুর মহানগরের আওতায় এলেও এখনো উন্নয়নের স্পর্শ পায়নি। টঙ্গীর স্থায়ী জলাবদ্ধতায় সৃষ্ট পুঁড়া কপাল পরাজিত করেছে অনেক জনপ্রিয় নেতাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের আগ্রাসনে শিল্পরগরী টঙ্গীতে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে শিল্প কলকারখানা। আধুনিক বিশ্বের ল্যাপটপ তৈরী কারখানা থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সকল ধরনের ৭০০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে এ শিল্পাঞ্চল এলাকায়। শিল্পায়নে এলাকাটি যথেষ্ট এগিয়ে থাকলেও এগিয়ে নেই তার রাস্তাঘাট সহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সমগ্র টঙ্গী এলাকার রাস্তাঘাটের এখন বেহাল অবস্থা। খানা খন্দেরে সার্বিক অবস্থা এমন যে মনে হয় টঙ্গীর শহর যেন গর্ত বন্ধির শহর।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ঘোড়াশাল সহ প্রায় ৫৯টি রুটের টার্নিং পয়েন্ট টঙ্গী। ফলে সারাদিন যানবাহনের অতিরক্ত চাপ থাকে। সড়ক মহাসড়কে খানা খন্দের সমেত টঙ্গী গর্ত বন্ধী হওয়াতে প্রায়ই গর্তে পড়ে যানবাহন আটকে যায়। আর গর্ত থেকে গাড়ি সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে সময় লেগে যায়। আর এতেই শুরু হয় কিত্রিম যানজটের। মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট টঙ্গীর এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতা বলেও মত দিয়েছেন অনেকে।
রাজধানী.ঢাকার অদুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৩২ বর্গকিলমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত টঙ্গী শিল্প এলাকা যার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় সাত লক্ষ। সমগ্র টঙ্গীর পাড়া মহল্লায় অলিতে গলিতে আইনের তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে ছোট বড় মাঝারি আয়তনের তৈরী পোষাক কারখানা। আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কলকারখানার দূষিত বর্জ ও পানি অপসারনের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ভাল না থাকায় বছরের প্রায় সব সময় রাস্তায় পানি জমে থাকে। আর এ নিয়ে এলাকা বাসিও বেশ ক্ষুব্ধ। কলকারখানার ময়লা পানিতে তলিয়ে থাকা খানা খন্দ ভরা সড়কে রিক্সায় চলাচলে প্রসুতি মায়ের সন্তান প্রসবের মত ঘটনা ঘটে গেলেও বছরের পর বছর কোন কর্নপাত করেন নাই কতৃপক্ষ।
নবগঠিত গাজীপুর সিটির সাতাইশ এলাকার এ সকল নাগরিক সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, আমাদের আট কোটি টাকা লাগবে। এই ধরণের দোহাইয়ের অজুহাতে পথ চলাচলে জনসাধারনকে এভাবেই মানিয়ে নিতে হবে বলে বললেন গাজীপুর সিটির ৫১ নং ওয়ার্ড কমিশনার মজিবুর রহমান খাঁন। টঙ্গী সহ দেশের সকল রাস্তা ঘাট সহ সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে যথাযথ কতৃপক্ষ ব্যাবস্থা নিবেন এটাই এলাকা বাসির প্রত্যাশা।
এসকল বিষয়ে গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান বলেছেন, টঙ্গী সহ গাজীপুর মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেই কাজ শেষ হবে। এইবার জলাবদ্ধতা অনেকটা কম হবে বলে জানান তিনি।