উত্তেজনা নিরসনে উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব দক্ষিণ কোরিয়ার

Slider সারাবিশ্ব

base_1500303760-korea-wekimediaউত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সীমান্ত উত্তেজনাকে ঘিরে দুপক্ষের মধ্যে চলমান বিদ্বেষের অবসান ও কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর  পুনরায় পুনর্মিলনীর সুযোগ প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। সিউলের আহ্বানে পিয়ংইয়ং সাড়া দিলে এটি হবে ২০১৫ সালের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে সামরিক ও মানবিক সহায়তা আদান-প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসি।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস প্রতিরক্ষামন্ত্রী গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সব ধরনের শত্রুতামূলক কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে সামরিক পর্যায়ে আলোচনায় অংশ নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়াকে। আগামী ২১ জুলাই তঙ্গিলগাক ভবনে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি, এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেবে পিয়ংইয়ং। প্রসঙ্গত, দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনার জন্য ব্যবহূত সীমান্তের পানমুনজম গ্রামে এ ভবন অবস্থিত। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এখানে দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

অন্যদিকে গতকাল উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আরেকটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে পুনরায় সামরিক ও মানবিক সহায়তামূলক কার্যক্রম আদান-প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সিউলের নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন দায়িত্বগ্রহণের পর পরই দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিকতম প্রস্তাব নিয়ে উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। অবশ্য এর আগে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক থাকা তাদের স্থানীয় রেস্টুরেন্টকর্মী ও ম্যানেজারদের ছেড়ে না দিলে তারা কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেবে না।

বার্লিনে দেয়া সাম্প্রতিক এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন বলেছিলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সেসঙ্গে তিনি দুপক্ষের মধ্যে শান্তি চুক্তি সম্পন্নের আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদিও অন্যপক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বরং একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে জাতিসংঘের রেজল্যুশন ভঙ্গ করে চলেছে দেশটি। যার সূত্র ধরে প্রতিবেশী দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার শত্রুতা বেড়ে চলেছে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া রেড ক্রসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুনরায় দুই কোরিয়ার পরিবারের পুনর্মিলনীর আয়োজনের উদ্দেশ্যে আগামী ১ আগস্ট সীমান্ত গ্রামে পৃথক আলোচনা করতে চায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *