বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিতে মোদি সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ’

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

74600_Mamata

 

 

 

 

 

ঢাকা: বাংলাদেশ, চীন, নেপালের মতো প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি অভিযোগ করেন এ জন্য তার রাজ্যকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিকিমে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যকার অবস্থান সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে সোমবার মমতা বলেন, দার্জিলিংয়ের মতো সিকিম। যদি সেটা চীন নিয়ে নেয় তাহলে তা হবে শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতায়। বাংলাদেশ, চীন, নেপাল, ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে (ভারতের) সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। এর কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফার্স্টপোস্ট। এতে বলা হয়, সোমবার মমতা ভারতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকারের এই ব্যর্থতার কারণে পশ্চিমবঙ্গ দুর্ভোগে পড়েছে। কারণ, এটাকে চাপ দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এটি নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটানের গেটওয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সব সময়ই সুসম্পর্ক চান তিনি। গত ১লা জুলাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এ নিয়ে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান মমতা। কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি আইবি, এসএসবি, ‘র’ এবং এনআইএকে টার্গেট করে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ের কাছে পশুপতি গেট এলাকায় প্রায় ৪০০ স্কুলে চীনা ভাষা পড়ানো হচ্ছে। তাহলে আইবি, এসএসবি কি করছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সময় বাংলাদেশ-ভারত নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা দিয়ে জামায়াতিদের কে প্রবেশ করতে দিয়েছে? কে তাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে? তারা (জামায়াত) শেখ হাসিনার বিরোধী। তারা পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ খুব ভালো। তারা তাদের সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করে দিয়েছে। মমতা অভিযোগ করেন, তারা সামাজিক মিডিয়ায় ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিস্তারিত জানে এসব মানুষকে (ট্রাবলমেকার) কারা সাতক্ষীরা থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজয় বিজেপির জন্য সহজ কাজ নয়। বিজেপি যদি মনে করে থাকে যে, গোরক্ষা’র নামে মানুষ হত্যা করে অথবা বন্দুকের গুলি চালিয়ে অথবা দাঙ্গা সৃষ্টি করে পশ্চিমবঙ্গকে কব্জায় আনা যাবে তাহলে তারা ভুল করছে। আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে সিবিআই, ইডি এবং আই-টি দিয়ে আমাদেরকে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু আমরা তাদেরকে বলবো, কখনো আমরা তাদের  (কেন্দ্রের) কাছে মাথা নত করবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *