রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিল্প কারখানার বর্জ ক্যামিকেল মিশ্রিত পানি আর পলিথিনে ভরে গেছে লবলং সাগর ক্ষ্যাত খাল। পলিথিন,বর্জ্যে , ক্যামিকেল মিশ্রিত পানিতে সয়লাব হয়ে উর্ববরতা নষ্ট হচ্ছে শতশত বিঘা ফসলি জমির । নানা স্থানে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় কমে গেছে খাল গুলোর আয়তন ও গভীরতা। হুমকির মুখে পরেছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
কারখানার মধ্যে রয়েছে ছোট বড় ডাইং ,টেক্সটাইল, ঔষধ ,গার্মেন্স, ক্যামিকেল সহ বিভিন্ন প্রকার শিল্প কারখানা। মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া ছালভো কেমিক্যাল কারখানার পশ্চিম পাশে চকপাড়া সড়কের মাওনা পাথার থেকে খালের শুরু। এছারা বৈরাগীর চালার খাল সহ একাদিক খাল মিশেছে এখালে।
প্রায় ৫০ কি.মি. দীর্ঘ খালের দু’পারে রয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি। অপরিকল্পিত শিল্প স্থাপন , পরিবেশ আইন অমান্য করা, ইটিপি ব্যবহার না করা, খেয়াল খুশি মত বর্জ অপসারণ সহ নানা অনিয়মের কারণে পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। শিল্প মালিকরা বিধি বিধানের তোয়াক্কা নাকরেই ময়লা আবর্জনা, ক্যামিকেল মিশ্রিত পানি অপসারণের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে পাথারের খাল গুলো। শিল্প বর্জ্য, বিষাক্ত পানি, ময়লা আবর্জনা, পলিথিনে একাকার হয়ে গেছে খালের পানি ।
অসাধু জমির মালিকরা স্থানে স্থানে খাল ভরাট করায় কমে গেছে খালের গভীরতা ও আয়তন। সামান্য বৃষ্টিতে খাল উপচে বিষাক্ত পানিতে সয়লাব হয়ে যায় দু’পারের জমি । পাথারের নিচু জমিতে রাতারাতি শিল্প কারখানা গড়ে উঠায় কমে যাচ্ছে ফসলের জমি। খাল গুলো দশ বছর পূর্বে পরিপূর্ণ ছিল প্রাকৃতিক মাছ আর জলজ প্রানিতে। বর্ষা এলে মাছধরার উৎসব পরতো খালে।এখন আর প্রাকৃতিক মাছ সহ জলজ প্রাণী পোকা মাকর চোখে পরেনা। পাথারের দুপারের কৃষক লালন পালন করতো গরু,ছাগল, ভেড়া আর হাঁস। পানি ও পরিবেশ দূষণের ফলে বন্ধ হয়েগেছে কৃষকের পশু পালন।
খাল পারের বাসিন্দা বানিয়ার চালা গ্রামের রহম আলী বলেন পানি দূষিত হওয়ায় দশ বছর যাবৎ জমিতে ফসল ফলাতে পারিনা। একই গ্রামের জিলাল উদ্দিন বলেন জমির মাটি নষ্ট হয়েগেছে চাষাবাদ করা যায়না ফসল পঁচে যায়। ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বলেন পাথারের জমিতে প্রচুর ফসল হতো পরিবেশ দূষণের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছে সাধারণ কৃষক। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন ওই খালের পানি পান করে মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। র্দূগন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে বাতাস কমে যাচ্ছে আম কাঁঠালের উৎপাদন। বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করেও প্রতিকার পাচ্ছেনা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। এলাকা বাসীর দাবী খাল খননের মাধ্যমে দু’পারে বাঁধ নির্মান করলে বিষাক্ত পানি ডুকবেনা ফসলী জমিতে। পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ-পরিচালক সুনিয়া সুলতানা বলেন বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা সরেজমিনে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক আইন গত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।
শ্রীপুর,গাজীপুর
১৫/৭/১৭