ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা চিত্রনায়ক ফারুক। যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা তিনি। আন্দোলন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে- আপাতত যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ স্থগিত করা হয়েছে। এতে কি আপনারা সফল? আমরা সব সময়ই সফল। আন্দোলনকারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের টার্গেটে পৌঁছতে না পারে, ততক্ষণ আন্দোলন চলে। আমাদের আন্দোলনও চলবে। আমরা সামান্য কয়টা টাকার জন্য নিজেদেরকে বিকিয়ে দিয়েছি। অন্য দেশের জন্য কথা বলছি। এটা মেনে নেওয়া যায় না। যৌথ প্রতারণার যে ছবিগুলো এখনও চলছে, সেগুলো বন্ধ করা উচিত। মামলা করে বা অন্য কোনো নিয়মে এগুলো জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা দরকার। আপাতত যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আমরা কমিটি করব। আর এই কমিটির মাধ্যমে নতুন নীতিমালার প্রস্তাব করব। টেলিভিশনের তিনটি সংগঠনের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিবারের মতবিনিময় সভা হয়েছে। এ বিষয়ে যদি কিছু বলেন- টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয়শিল্পী সংঘের সঙ্গে আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের মতবিনিময় সভা হয়েছে। তারাও দেশীয় সংস্কৃতির স্বার্থে আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। দেশীয় সংস্কৃতি ও আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের সহযোগিতা আমরা পাব। শোনা যাচ্ছে শাকিব খানকে চলচ্চিত্রের সব সংগঠন ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ করবে? শাকিব খান তো এখনও নিষিদ্ধ আছে। তবে কয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে এটা এখন বলতে পারছি না। আমাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। শাকিব খান আমার আদরের ছোট ভাই। সে এখন কলকাতার অনেক বড় নায়ক। ওখানে তার অনেক নাম-ডাক হয়েছে। তাই তার আমাদের এখানে কিছু না করে কলকাতায় করলেই ভালো হবে। চলচ্চিত্রে এমনিতেই শিল্পী সঙ্কট। শাকিব খানকে নিষিদ্ধ করা চলচ্চিত্রের জন্য কতটা মঙ্গল হবে? আমি মনে করি, শাকিব খান আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অমঙ্গল। সে সবাইকে ডিস্টার্ব করে। পুরো চলচ্চিত্রকে সে জিম্মি করে ফেলেছে। তার জন্য নতুন কোনো নায়ক উঠে আসছে না। মানে, সে রাজনীতি করে নতুন কোনো ছেলেকে উঠে আসতে দিচ্ছে না। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা গঠনের ক্ষেত্রে আপনাদের কী প্রস্তাব থাকবে? আমাদের অনেক ধরনের প্রস্তাব থাকবে। চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল হবে এমন প্রস্তাবই আমরা দেব। নীতিমালায় কী ধরনের প্রস্তাব থাকবে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হব বিশেষ সভার মাধ্যমে। জাজের আবদুল আজিজ আপনার বাসায় গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। অনেকেই বলছেন আপনি তাকে ক্ষমাও করে দিয়েছেন? এই জিনিসটা খুব খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি ভদ্রলোক। আমার বাসায় সে গেছে। আমিও তাকে মেহমান হিসেবে সম্মান করেছি। সে তো আমাদেরই লোক। আর আমার বাসায় গিয়ে কেনো ক্ষমা চাইবে। কারও বাড়িতে কেউ যেতেই পারে। একজন মেহমান হিসেবে যতটা আপ্যায়ন করা দরকার, আমি তাকে ততটাই আপ্যায়ন বা সম্মান করেছি। তাহলে যৌথ প্রযোজনাও কি আপনারা চাচ্ছেন না? যৌথ প্রযোজনাকে আমরা স্বাগত জানাই। শুধু কলকাতা নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশের ছবি আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত হলে আমাদের সংগঠনগুলোর কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা বন্ধ হোক।