সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিবাহের অবসান ঘটানোর জন্য প্রচলিত আইনের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
স্পিকার আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার হাজি কোরপ আলী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর আয়োজিত “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে মাতৃমৃত্যু রোধ করুন বিষয়ক একটি জনসচেতনতামূলক সমাবেশ” এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতার কাজটি প্রথমে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে, সামাজিক মূল্যবোধ ও মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সকল পর্যায়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে যেতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে না দিয়ে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলতে হবে।
স্পিকার বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যত নিজেদের গড়ে তোলতে হবে। মেয়েদের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে।’
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ, বাল্যবিবাহ মেয়েদেরকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়, মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং শিক্ষার সুযোগ কমে যায়। তিনি বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়ের মানসিক আঘাত পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেয়েটি তার নিজের বাল্যকাল হারিয়ে ফেলার কারণে মানসিকভাবে তার সন্তানদের কখনোই যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারে না এবং অপরিণত বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে সেই মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য মানসিকভাবে সক্ষম থাকে না।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে বিশ্বে রোল মডেল। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে যেকোন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে এর সুফল ঘরে ঘরেপৌছে দিতে হবে। সকলক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সংসদ-সদস্যগণ দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ নারী উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত। নারীকে পিছিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে জন্য নারী উন্নয়নের সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে রূপকল্প -২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার দেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাসহ দলমত নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে আসতে হবে।
সিরাজগঞ্জ-২ কামারখন্দ আসনের সংসদ-সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, আব্দুল মজিদ মন্ডল এমপি, তানভীর ইমাম এমপি ও সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আশরাফুল মকবুল, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা মেটাভেল পিচ্চিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত, যুগ্ম সচিব ও এসপিসিপিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসরাম খান, আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও কামারখন্দ উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকারী কিশোরী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনার সিংদীঘি গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে সাহিদা আক্তার স্বর্ণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আগে ও পরে ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ এবং ফারজানা ব্রাউনিয়ার উপস্থাপনায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
স্পিকার আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার হাজি কোরপ আলী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর আয়োজিত “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে মাতৃমৃত্যু রোধ করুন বিষয়ক একটি জনসচেতনতামূলক সমাবেশ” এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতার কাজটি প্রথমে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে, সামাজিক মূল্যবোধ ও মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সকল পর্যায়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে যেতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে না দিয়ে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলতে হবে।
স্পিকার বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যত নিজেদের গড়ে তোলতে হবে। মেয়েদের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে।’
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ, বাল্যবিবাহ মেয়েদেরকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়, মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং শিক্ষার সুযোগ কমে যায়। তিনি বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়ের মানসিক আঘাত পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেয়েটি তার নিজের বাল্যকাল হারিয়ে ফেলার কারণে মানসিকভাবে তার সন্তানদের কখনোই যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারে না এবং অপরিণত বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে সেই মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য মানসিকভাবে সক্ষম থাকে না।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে বিশ্বে রোল মডেল। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে যেকোন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে এর সুফল ঘরে ঘরেপৌছে দিতে হবে। সকলক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সংসদ-সদস্যগণ দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ নারী উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত। নারীকে পিছিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে জন্য নারী উন্নয়নের সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে রূপকল্প -২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার দেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাসহ দলমত নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে আসতে হবে।
সিরাজগঞ্জ-২ কামারখন্দ আসনের সংসদ-সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, আব্দুল মজিদ মন্ডল এমপি, তানভীর ইমাম এমপি ও সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আশরাফুল মকবুল, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা মেটাভেল পিচ্চিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত, যুগ্ম সচিব ও এসপিসিপিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসরাম খান, আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও কামারখন্দ উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকারী কিশোরী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনার সিংদীঘি গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে সাহিদা আক্তার স্বর্ণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আগে ও পরে ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ এবং ফারজানা ব্রাউনিয়ার উপস্থাপনায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।