মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।বাস্তিল ডে উৎযাপনের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প বলেন প্যারিস চুক্তির সম্মানে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কিছু একটা হতে পারে।মাত্র দেড় মাস আগে এই চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
মি. ট্রাম্প এখন দুই দিনের সফরে ফ্রান্সে রয়েছেন। শুক্রবারের বাস্তিল ডে উৎযাপনের আগে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে করেন যেখানে তাদের মতপার্থক্যে বিষয়টি আবারো সামনে উঠে আসে।মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক দৃঢ় করার উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দুই নেতার দুই রকম মত উত্তেজনা তৈরি করেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে “সম্মান করতেন”। তবে ফ্রান্স ঐ চুক্তির প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।
Image caption
এর পরেই মি. ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন।তিনি বলেন ” প্যারিস চুক্তির সম্মানে কিছু একটা ঘটতে পারে” তিনি সাথে যোগ করেন ” আমরা দেখবো কি করা যায়”। তবে মি. ট্রাম্প এর বেশি পরিষ্কার করে কিছু বলেন নি।মাত্র গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসেন।সেই সময় তিনি বলেন মার্কিন ব্যবসা-বাণিজ্যকে ক্ষতি করবে না এমন নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার প্রতি তিনি আগ্রহী।এদিকে এই জলবায়ু চুক্তি ইস্যুতেই গত সপ্তাহান্তে জি-২০ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প অনেকটা একঘরে হয়ে পরেন।মার্কিন একজন কূটনৈতিক উইলিয়াম জরডান বিবিসি কে বলেছেন প্যারিসে ট্রাম্পের এই সফর তাঁর জন্য একটা সুযোগ তৈরি করবে- যাতে করে তার ভাষায় “বিশ্ব তাঁকে গুরুত্ব দেয়”।
এদিকে মি. ট্রাম্পের এই সফরকে ঘিরে বিক্ষোভ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্যারিসে।বিক্ষোভকারীরা ” নো ট্রাম্প জোন” করার পরিকল্পনা করছে। ফেসবুকে একটি ইভেন্ট পেজ খোলা হয়েছে ” ট্রাম্প ইজ নট ওয়েলকাম ইন প্যারিস” নামে।