মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ ছক তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। ওই ছকের ৩ নম্বর ধাপে গিয়ে তারা দেশব্যাপী ধরপাকড় অভিযান পরিচালনা করছে। পরবর্তী ধাপে আটকদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফৌজদারি মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে। বিচারে জেল অথবা জরিমানা নির্ধারণ ও পালনের পরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন এই ছকের নাম দিয়েছে ‘ফরেইনার উইথআউট ভিসা’ (মালয় ভাষায় আদুয়ান পিটা)। আটক অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষ তাদের শ্রমিকদের ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর হলেও বুধবার রাত পর্যন্ত মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশের পক্ষে কোনো আলোচনার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মালয়েশিয়া হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৭ জুলাই অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়ের বিষয়টি নিয়ে ইমিগ্রেশনের সাথে হাইকমিশনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের তৈরি করা ছক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করে উচ্ছেদ করা পর্যন্ত ফর্মুলাকে তারা মোট আট ভাগে ভাগ করেছে। কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে গ্রেফতার এবং সর্বশেষ যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হবে এ ফর্মুলায়।
এক নম্বরে রয়েছে আদুয়ান (অভিযোগ), ২. রিসিকান (গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ), ৩ অপারেসি (ধরপাকড়), ৪. সিয়াসাটান (তদন্ত), ৫. পেনডাকওয়ান (প্রসিকিউশন) ৬. কমপাউন ( জরিমানা), ৬ (২) পিনজারা (জেল) এবং ৭ নম্বরে পেনগুসিরান (উচ্ছেদ বা দেশে ফেরত)। এই ছক তৈরি করে ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরিয়ে দিতে বেশ কিছু ফোন ও ই-মেইল নম্বর দেয়া রয়েছে।
এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী একাধিক ব্যবসায়ী গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিল বিভাগের অদক্ষতার কারণে অবৈধ শ্রমিকরা বৈধ হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা যদি সত্যিকারের ‘ক্যাম্পেইন’ করতেন তাহলে আরো অনেক অবৈধ বাংলাদেশী বৈধ হতে পারত।