বাংলাদেশের প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছেন। শুধু তাই নয়, কিডনি রোগের প্রকোপও দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগ আছে যেমন- কিডনি বিকল, কিডনির ইনফেকশন, কিডনির পাথর, নেফ্রোটিক সিনড্রোম, পারিবারিক কিডনি রোগ। এ ছাড়া আরও অনেক কিছু। কিডনি বিকল দু’ধরনের। আকস্মিক কিডনি বিকল ও ধীরগতিতে কিডনি বিকল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণই কিডনিজনিত ইনফেকশন, অর্থাৎ Glomerulo nephritis কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে ডায়াবেটিসই ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণ। এ ছাড়া যদিও আমাদের দেশে কিডনি বিকলের দ্বিতীয় প্রধান কারণ।
উচ্চরক্তচাপ হচ্ছে ধীরগতিতে কিডনি বিকলের কারণ, এ ছাড়া ADPKD অর্থাৎ বংশগত কিডনি রোগ, Obstructive Uropathy প্রস্রাব ইনফেকশন, কিডনির পাথর ছাড়া অন্যান্য বহু কারণে দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, ধীরগতিতে কিডনি বিকল হতে পারে। তাই ধীরগতিতে কিডনি বিকল প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ছাড়া কিডনির ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে হবে, বিশেষ করে গলা ব্যথা খোসপাঁচড়া বা Scables হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। কিডনির পাথর এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য পরিমিত পানি খেতে হবে। আকস্মিক কিডনি বিকলের প্রথম এবং প্রধান কারণ জড়ঃধ ঠরত্ধষ ডায়রিয়া। অনেকেরই জানা নেই ডায়রিয়া হলে পানিশূন্যতা থেকে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে।
ডা. সহেলী আহমেদ সুইটি, সহকারী অধ্যাপক, কিডনি বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।