তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবে যে খাবারগুলো

Slider বিচিত্র

174327_1

 

 

 

 

 

বি.এম. রাসেল: বাইরে বের হলে গরম আবার রুমের ভেতরেও গরম। গরমের যন্ত্রণায় জীবন অতিষ্ঠ। শরীর গরম হয়ে গেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই গরমকে মোকাবেলার কী কোনো উপায় আছে? গরমের সময় খাবারের দিকে একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। শরীর গরম হয়ে গেলে যেসব সমস্যা দেখা খো দেয় তা হচ্ছে- মুখে ব্রণ, দানা দানা ওঠা, বমি বমি ভাব, পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে আরো বড় ধরনের সমস্যা। তাই শরীরকে সুস্থ-সবল এবং ঠান্ডা রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া। তবে হ্যাঁ পানির পাশা পাশি কিছু খাবার আছে যা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা করে দিবে। জেনে নিই খাবারগুলো কি: শসা শসা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করে থাকে। সালাদ হোক বা এমনি প্রতিদিন শসা খান। এটি শরীরের তাপ কমিয়ে ভেতর থেকে ঠান্ডা করে থাকে। দুধ প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস দুধে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খান। সারাদিন শরীর ঠান্ডা ও ক্লান্তিহীন থাকবে। বাঙ্গী শরীর ঠান্ডা করতে এই ফলটির জুড়ি নেই। অনেকেই এই ফলটি খেতে পছন্দ করেন না, তবে গরমে শরীর ঠিক রাখতে এই ফলটির উপরে ভরসা করা যায়। পুদিনা পাতা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। প্রতিদিন এক গ্লাস পুদিনা পাতার রস পান করুন। এটি আপনার শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা করে দিবে। তিল তিল ভেজানো পানি পান করুন। এটি আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। জিরা বা মৌরি রাতে কিছু জিরা বা মৌরি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে উঠে পান করুন। এটি সারাদিন শরীর ঠান্ডা রাখবে। ডাবের পানি তপ্ত আবহাওয়ায় শরীর ঠিক রাখতে ডাব বা নারকেলের পানির তুলনা নেই। বাহিরে কোল্ড ড্রিংক্স বা অন্য কোন পানি পান না করে ডাব খান, দেখবেন শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। ডালিম নিয়মিত ডালিমের রস খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হয় না এবং শরীরে ঠান্ডা থাকে। যেসব খাবার থেকে বিরত থাকবেন *গরমে বেশি তেল ও মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। *শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লবণ-চিনি দেয়া লেবুর শরবত, ডাবের পানি, দইয়ের ঘোল খেতে পারেন। *রাস্তার কাটা ফল বা ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। *পেট পরিষ্কার রাখতে বেশি পরিমাণে পানি ও শাল সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। *গরমে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সালাদ বেশি পরিমাণে খান। *শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে প্রাণিজ প্রোটিন না খেয়ে উদ্ভিজ প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি এসিডিটি না থাকে তাহলে পাঁচমিশালি ডাল দিতে পারেন। আর যদি ডাল রান্না করার আগে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তবে ডাল থেকে এসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *