জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে। ১ জুলাই শনিবার থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। বাজেট অধিবেশন শুরুর পর প্রায় এক মাস আলোচনা শেষে আজ চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয় সকাল ১০টায়। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ অন্য মন্ত্রী ও সাংসদেরা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার অধিবেশনের শুরুতেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবি নিয়ে আলোচনা করার কথা জানালে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সাংসদেরা আলোচনায় অংশ নেন।
মোট বাজেটের মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় দুই লাখ ৩৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যয় হবে। বাজেটের উন্নয়ন ব্যয় এক লাখ ৫৯ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৩ কোটি খরচ হবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা।
নির্দিষ্টকরণ বিল পাস
আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ২১৪ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল আজ কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সাংসদদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ তিন লাখ ৭০ হাজার ৬৭৬ কোটি ৮৪ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭ কোটি ৩১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাইকোর্টের বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনও অন্তর্ভুক্ত।
মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব
আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সাংসদেরা ৩৫২টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে অর্থ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে।