কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এরিনা অ্যাপারেলস লিমিটেডে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ শ্রমিক রয়েছে। দেড় বছর ধরে ওই কারখানায় কাজ করছেন তাঁরা। তবে তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। ঈদ বোনাসও দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় ২১ জুন কারখানা থেকে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। পরদিন সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন কর্তৃপক্ষ নেই। ওই দিন থেকে শ্রমিকেরা তাঁদের দাবিতে কারখানার ভেতর অবস্থান নেন।
কারখানার শ্রমিক মামুন অর রশিদ ও নাছিমা আক্তার বলেন, ‘গত তিন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়েই কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। আমরা বাসাভাড়া এবং দোকানের বাকি বিল দিতে পারছি না। বাড়ি যাওয়ার মতো টাকাও নেই আমাদের কাছে। তাই খেয়ে না-খেয়ে কারখানার ভেতরেই অবস্থান নিয়ে আছি। বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কারখানার ভেতরেই থাকব।’
ওই কারখানার ব্যবস্থাপক মো. আরমান খান জানান, কারখানার ব্যবসা ভালো না হওয়ায় ব্যবসা পরিবর্তন করার চিন্তাভাবনা চলছে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। মেশিনপত্র বিক্রি করা হলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা জানিয়েছে, কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। মেশিনপত্র বিক্রির টাকা ব্যবস্থা হলে বেতন দিয়ে দেবে।
এদিকে গতকাল শনিবার সব পোশাক কারখানার শ্রমিকদের উৎসব ও বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলেছে, বেতন-ভাতা নিয়ে এবার কোনো অসন্তোষও নেই। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। বিজিএমইএর আওতাধীন ৩ হাজার ১০০ কারখানায় উৎসব ভাতা ও মে মাসের বেতন দেওয়া হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির জানান, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনো জানি না। সব কারখানা বিজিএমইএর সদস্য নয়। এ বিষয়ে আমরা এখনো তথ্য পাইনি।’