হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: ঈদ কিংবা বিভিন্ন দিবসগুলোতে রাজনৈতিক নেতা ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বশীলদের পক্ষে কর্মী ও সহকর্মিদের ঈদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন সিলেটে কিংবা বাংলাদেশে নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যানার, ফেস্টুন, তোড়ন কিংবা বিলবোর্ডে নেতাদের ও সমাজকর্মিদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো অর্থাৎ নেতাদের প্রচারণা চলে আসছে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ছোট-বড় সকল রাজনৈতিক দল এবং সমাজ সংগঠকরা প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সিলেটের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমাজপতিদের মধ্যে এখন এ নিয়ে এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে। কে কত বেশী লাগাতে পারেন, কে কার থেকে বড় লাগাতে পারেন- এমন আলোচনা এখন প্রত্যেকটি গ্রুপের মধ্যে।
সিলেটে এসব প্রচারণা মুলত হয়ে থাকে বলয় কেন্দ্রীক। রাজনৈতিক দলগুলোর এক এক বলয়ের নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের অর্থাৎ বলয়ের নেতার ছবি দিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, তোড়ন কিংবা বিলবোর্ড এগুলো লাগিয়ে থাকেন।
আর সিলেটের আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টিতে একেক নেতার কতৃত্বে নির্দিষ্ট বলয় থাকায় প্রচার প্রচারণায় মুলত তাদের ছবিই পরিলক্ষিত হত। রাজনীতিতে সম্পৃক্তরা ব্যানার-ফ্যাস্টুনে নেতার ছবি দেখে বুঝে নিতেন কে কোন বলয়ের।
তবে, এবার সিলেটে ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ডে দেখা মিলেছে এক নতুন মুখের। তিনি হচ্ছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পুত্র শাহেদ মুহিত।
নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় শাহেদ মুহিতের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছে জানিয়ে বিলবোর্ড লাগিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মী এ কে এম লায়েক। এর আগে কখনো শাহেদ মুহিত সিলেটের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকায় অনেকেই তার ছবি দেখে আশ্চর্যবোধ করেছেন।
এ ব্যপারে এ কে এম লায়েক বলেন- অর্থমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে শাহেদ মুহিতকে সিলেটবাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিতেই তিনি তার পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এখানে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। আর শাহেদ মুহিত রাজনীতি করেন না তা ঠিক নয়। তিনি দীর্ঘ দিন সজিব ওয়াজেদ জয়ের সাথে প্রবাসে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন- অর্থমন্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ঈদে কয়েক হাজার পরিবারে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। যার মুল উদ্যোক্তা শাহেদ মুহিত। সে কারণে সিলেটবাসীর তাকে চেনা প্রয়োজন। আমি শুধু তাকে চিনিয়ে দিতেই তার পক্ষথেকে বিলবোর্ড প্রচারনা চালিয়েছি।