ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলায় শুনানির তারিখ ২৯ জুন ধার্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত তারপরও কিছুটা সময় শুনানি করে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচারকাজ চলছে। মামলা দুটি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার মামলা দুটিতে হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আদালতে আসেন খালেদা জিয়া। এ ঘণ্টার শুনানি শেষে ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে চলে যান।
শুনানির শুরুতে খালেদার আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার আদালতকে বলেন, আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাই শুনানির জন্য নতুন তারিখ প্রয়োজন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ আবেদনের বিরোধিতা করেন।
এ পর্যায়ে জমির উদ্দিন সরকারের উদ্দেশে আদালত বলেন, খালেদা জিয়ার ওকালতনামায় ৪৭৮ জন আইনজীবীর নাম আছে। একজন অসুস্থ থাকলে তাঁর জন্য মামলার শুনানি হবে না, এটা কেমন কথা। তাহলে কি তালিকা দেখানোর জন্য?
আদালত বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করতে গিয়ে গত তিনটি কার্যদিবসে ১৬টি প্রশ্নের মধ্যে মাত্র একটি প্রশ্ন করেছেন আপনারা।
জবাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, উনি (আবদুর রাজ্জাক) এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষীকে জেরা করেছেন। এ সময় দুদকের আইনজীবী কাজল বলেন, প্রতিটি তারিখেই আসামিপক্ষের ইস্যু থাকে। পরে আদালতও আসামিপক্ষকে জেরা করতে বলেন। আইনজীবীরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবারও খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়েছিলেন। সেদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আংশিক জেরা করেন। অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আগামী তারিখেও মামলা দুটি একই পর্যায়ে রয়েছে।
মামলা দুটির মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আর ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন।