শ্রীপুরের আন্ত:সংযোগ সড়ক যানচলাচলের অনুপোযোগি

Slider গ্রাম বাংলা

IMG_10494586728913

 

 

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর) শ্রীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীুপরের শ্রীপুর উপজেলার আন্তঃসংযোগ সড়ক গুলোতে অতিভারী যান চলাচল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দূর্বল নির্মাণ কাঠামো আর পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে উপজেলার প্রায় ১৫ টি আন্ত:সংযোগ সড়ক যানচলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিটি সড়ক ভরে গেছে খানা খন্দে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার উপর জমে যায় হাঁটু পানি। ঈদুল ফিতরের আগে শ্রীপুরের পথে পথে কাঁদাজল আর খানা খন্দে দূর্ভোগে পড়ছে যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর-বরমী সড়কটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেহাল দশায় পড়ে আছে। সংস্কার উন্নয়নের নামে বারবার দরপত্র আহ্বানের কথা বলা হলেও তা এগুয়নি বাস্তবে। বর্ষার শুরু থেকে ওই সড়কে বন্ধ হয়ে আছে গণ পরিবহন চলাচল। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে বালুবাহী ট্রাক। এছাড়া উপজেলার কাওরাইদ-শ্রীপুর, কাওরাইদ-জৈনা বাজার, শ্রীপুর-রাজাবাড়ী, আনসাররোড, বরমী-কাওরাইদ, জৈনা-বাঁশবাড়ী, বরমী-গোসিংগা, শ্রীপুর-কাপাসিয়া, গোসিংগা-কাপাসিয়া,টেংরা রোড, শ্রীপুর-রাজাবাড়ী ,শ্রীপুর –মাষ্টার বাড়ী সড়কসহ প্রায় একডজন অতিগুরুত্বপূর্ন আন্ত:সংযোগ সড়কে স্থানে স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দের। এসব সড়কে প্রতিনিয়তই কাঁদাজলের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় চলাচল করছে যানবাহন। পথচারীরা নিত্যদিনই পোহাচ্ছেন অবর্ণনীয় দূর্ভোগ।

আলোর নিচেই অন্ধকার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা ফ্লাইওভারের নিচে। যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন না থাকায় মহাসড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফ্লাইওভারের পশ্চিমপাশে জমে থাকে হাঁটু পানি। ময়লা দূর্গন্ধযুক্ত পানিতে প্রতিদিনই নাকাল হয়ে থাকেন পথচারীরা। স্থানীয়দের ধারণা, জলাবদ্ধতা নিরসন না হলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে ফ্লাইওভার। এছাড়া ফ্লাইওভারের পাশে মাওনা-ফুলবাড়িয়া সড়কটির ওপর এক হাঁটু কাঁদা। যানবাহন চলাচল সহ পায়ে হেঁটে চলা এ সড়কে দূরূহ। ফ্লাইওভারের পাশে শ্রীপুর সড়কের ওপর প্রতিনিয়তই জমে থাকে দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি কাঁদা।

গাজীপুরের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তার গুরুত্বপূর্ন এ দুটি সড়কের কাঁদাজল অপসারনে নেই কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি। এছাড়া শ্রীপুর পৌর শহরের সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের সামনের সড়ক পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। এক হাঁটু পানি পেরিয়ে যেতে হয় সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে শ্রীপুর এস.আর অফিসের গুরুত্বপূর্ন দলিলপত্র রক্ষনাবেক্ষন ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে।

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই নারীর টানে ঘরমুখো মানুষ ফিরছে গ্রামে। শ্রীপুরে এসেই পড়ছেন তারা রাস্তাঘাটের বিড়ম্বনায়। এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঈদের আগে এসব রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব না। অতি জরুরী স্থানগুলোর বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *