.
হাফিজুল ইসলাম লস্কর সিলেট:: যতই আমরা দেশীয় পন্যের জয়গান গাই না কেন ঈদ আসলেই দেখা যায় মহিলা তরুন তরুনীরা মজে থাকেন ভারতীয় পোশাকে।
ভারতীয় সিরিয়ালের চরিত্রের নামের পোশাক গুলোই রমরমা চলে আমাদের বিপনি বিতান গুলোতে। আর আমাদের দেশী পোশাক সেখানে মুখ থুবলে পড়ে। অথচ গুনে মানে আমাদের দেশী পোশাকগুলো ভারতীয় পোশাকের চেয়ে শতগুনে ভালো।
হিন্দী সিরিয়াল বা সিনেমার চরিত্রে নামে নামকরনকৃত পোশাক গুলোই অটোমেটিক পছন্দ তরুনী কিংবা মহিলাদের। অতচ এই পোশাকগুলি নামকরনকৃত ওই চরিত্রের পরনে দেখেছেন বলে বিক্রেতা বা ক্রেতা কেউই বলতে পারছেন না।
হিন্দি সিরিয়াল কিংবা সিনেমার নায়িকাদের পোশাকই মহিলা ও তরুণীদের ঈদ আকর্ষণের প্রথম পছন্দ। পাখি, কিরণমালা, কটকটিসহ হালের জনপ্রিয় সিলেটে বাহুবলী-২এ মজেছেন তরুণী ও মহিলারা। যদিও এ সিনেমার নায়িকা দেব সিনা সিনেমার কোন দৃশ্যেই শাড়ির বদলের অন্য কোন পোশাক পরতে দেখা যায়নি।
তাছাড়া পোশাকের নাম দেবসিনা নয়। পোশাকের নাম উক্ত ছবির নায়ক অমরেন্দ্র বাহুবলীর নামে বাহুবলী-২ নামকরন করা হয়েছে। নায়কতো আর কখনই ড্রেস পরার কথা নয়। কিন্তু তরুনীদের সে দিকে খেয়াল নেই।
তারপরও সিলেটসহ দেশের বাজারে সয়লাভ বাহুবলী-২ পোশাকে। শাড়ির পাশাপাশি এ নামে বিক্রি হচ্ছে ড্রেসও।
ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সিলেটের শপিংমলে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রত্যাশা মতো ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই বলে জানান ব্যবসয়ীরা জানালে বিপনিবিতান গুলো ঘুরে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আর ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতার উপস্থিতি আরো বাড়ছে। গত সপ্তাহের এ সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্রেতা ভিড় করছেন শপিং মল ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
জেলাশহরের আলহামরা, শুকরিয়া, গ্যালারিয়া মার্কেট, করিমউল্লা মার্কেট, মধুবন, জিন্দাবাজার, কুমারপাড়া ও মহানগরীর অভিজাত বিপনি বিতান গুলোতে ক্রেতাদের আশানুরূপ উপস্থিতি দেখা যায়।
যদিও গত বছরের তুলনায় ক্রেতাদের উপস্থিত এ পর্যন্ত অনেক কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের পছন্দ মতো কাপড় সরবরাহ করতে ব্যবসায়ীরা ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকার কাপড় মজুদ করেছেন। ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ বলে ব্যাবসায়ীরা জানান।
বাজারে ভারতীয় সিরিয়াল ও সিনেমার নামের পোশাকগুলো তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। বাহুবলী-২, হায়াতি, আনন্তিকা, সুলতান সুলাইমান, হুর রাম, সাহারাসহ বিভিন্ন নামের পোশাক রয়েছে বিপতি বিতানগুলোতে।
পোশাকে কাপড়ের মান অনুযায়ী ড্রেস বাহুবলী-২ আড়াই হাজার টাকা থেকে ১০হাজার টাকা, হায়াতি ১৫০০ শত টাকা থেকে ৬হাজার টাকা, আনন্তিকা ২ হাজার টাকা থেকে ৭/৮ হাজার টাকা, সুলতান সুলাইমান ১৫ শত টাকা থেকে ৮হাজার টাকা, সাহারা ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মহিলাদের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ী এসেছে। বাহুবলী-২ শাড়িটি ২হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা, কাতান সাড়ী ১০০০ টাকা হাজার থেকে ৭০০০ হাজার টাকা, বেনারসি, সুতি,জামদানিরও চাহিদা রয়েছে ঈদ বাজারে।
করিমউল্লা মার্কেটের ব্যবসায়ী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ক্রেতার উপস্থিতি তেমন বাড়েনি। সময় বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়বে। তখন বিক্রেতারা ক্রেতাদের শামাল দিতে হিমশিম খাবেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ক্রেতাদের উপস্থিতি একসাথে যখন বাড়বে তখন একটু বেগ পেতে হবে তবুও চেষ্টা থাকবে ক্রেতাদের সন্তোষ্টি আদায় করার।