নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা

Slider জাতীয়

70952_nh

 

 

 

 

 

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। সবার অংশগ্রহণ হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের দাতা সংস্থাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন। বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে সিইসি জানিয়েছেন এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। বিষয়টি সরকার ঠিক করবে। ব্রিফিং-এ বলেন, আমাদের সামনে আইন কানুন সংশোধন, সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালানাগাদ, কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের মতো কাজগুলো রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আমাদের আছে কি না বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছে। উত্তরে আমরা বলেছি-আমাদের হাতে অনেকগুলো আইন আছে। অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। সবার অংশগ্রহণ হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। কেএম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা কারিগরি সহযোগিতা চাই।

এছাড়াও নির্বাচনের আগে ভোটার, প্রার্থী ও ইসি; কার কি দায়িত্ব তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এক্ষেত্রে তারা প্রচারণা উপকরণ প্রস্তুতে সহায়তা করবে। স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ দেয়ার মেশিন কিনতে আর্থিক সহায়তা চাই। তবে এগুলো ছাড়াই স্মার্টকার্ড দেওয়া সম্ভব। তাই আমরা প্রকল্পটা আরো বাড়াতে চাই। যদিও নির্বাচনের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের সম্পর্ক নেই। তবু আমরা সংসদ নির্বাচনের আগে সবার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চাই। বৈঠকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানান সিইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছিলেন, আমরা বলেছি এ নিয়ে ইসির কিছু করার নেই। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এদিকে ইউএনডিপি’র আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ডি ওয়াটকিসন বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের ২১ বছরের সম্পর্ক। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সকল ধরণের কারিগরি সহায়তা করতে চাই।

নির্বাচনীকালীন সরকারের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমাদের বিষয় না। এটা সরকারের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশপ্রহণ প্রয়োজন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফ্রান্স, ইইউ, জার্মানি, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের প্রতিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *