স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে যশোর সদর উপজেলার কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়ি যশোর সদর উপজেলার মুরাদগড় গ্রামে ফিরছিলেন। যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের কাজী শাহেদ সেন্টারের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাঁর গতি রোধ করে। এ সময় পুলিশের কথিত তথ্যদাতা (সোর্স) ওই শিক্ষকের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর এসআই শামীম আকতার ওই শিক্ষককে আটকের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেখানে লোকজন জড়ো হলে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেন।
বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসআই শামীমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, প্রভাষক জাহিদুল ইসলামের পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে আটকের চেষ্টা করার অভিযোগে এসআই শামীম আকতারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনার কয়েক দিন আগে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে যশোর শহরের রেল সড়কের সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে এক যুবকের পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে আটকের চেষ্টা করেন কোতোয়ালি থানার আরেক এসআই মাহবুবুর রহমান। সে সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাতেনাতে ধরে পিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পুলিশের ওই সদস্যকেও প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।