একজন দেহব্যবসায়ী তার হোটেলে ভ্রাম্যমান আদালত না চালাতে গাজীপুর ডিসিকে হুমকি দিয়েছেন। ডিসি সাহেব হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করেছেন। একদনি পর ওই হোটেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে কিন্তু পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন না। বিষয়টি উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ। একজন অপরাধী যদি জেলা প্রশাসককে হুমকি দিতে পারেন তবে সাধারণ মানুষের নিরপত্তা কে দিবে! এই ক্ষেত্রে গাজীপুর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। অপরাধী আটক বা অভিযুক্ত হোটেলে অভিযান করার ক্ষেত্রে পুলিশের অসহযোগিতা তাদের দায়িত্বকর্মে অবহেলা ও অন্য কিছুর ইঙ্গিত বহন করে।
খবর বেরিয়েছে, গাজীপুরে দীর্ঘ দিন ধরে প্রকাশে উলঙ্গ নৃত্য, জুয়া, হাউজি ও হোটেলে পতিতা ব্যবসা সহ নানা ধরণের মাদক ব্যবসা চলে আসছে। অজ্ঞাত কারণে সংবাদকর্মীরাও সংবাদ দিচ্ছেন না। যারা দিচ্ছেন তারা আহত হয়ে বা গ্রেফতার হয়ে শান্ত অবস্থায় রয়ছেন।
গাজীপুরকে অপরাধের অভয়ারণ্য করে রাখাটা যদি সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হয় তবে কোন কথা নেই। আর যদি গাজীপুরবাসীকে সরকার ভাল রাখতে চায় তবে ডিসিকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা উচিত।