কী ছিল আর কী হলো!

Slider খেলা

ddc8735b2feb7a40af27a85ac37a6c8e-594281c11aea8

 

 

 

 

 

ঢাকা: ২৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৫২। এমন পরিস্থিতি কত রানের আশা করতে পারে একটি দল? বাংলাদেশের স্কোর অনায়াসে তিন শ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল, কী করলে ৩৩০-৩৪০ হতে পারে, ধারাভাষ্য কক্ষে এ নিয়ে আলোচনা। সেই বাংলাদেশ ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপকে দিতে পারল ২৬৫ রানের লক্ষ্য। ৩১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সূচিটা প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছে কোহলির দল।

কী ছিল, আর কী হলো!
এ রানটাও এল মাশরাফির এলোপাতাড়ি ব্যাট ঘোরানোর ছোঁয়ায়। না হলে ৪৫তম ওভারেই তো রান তোলার শেষ ভরসাও হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১১ রানের মধ্যে ফিরে গেছেন শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। ২২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আড়াই শ রান করতে পারবে কি না, সে অপেক্ষায় ধুঁকে ধুঁকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২৫ বলে মাশরাফির অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসের প্রতিটা রান তাই হয়ে গেল হীরার চেয়ে দামি!
অথচ এর আগে বাংলাদেশের স্কোর নিশ্চিতভাবে তিন শর দিকে ছুটছিল। ২৮তম ওভারের শেষ বল থেকে ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বল—এই ৪৫ বলের মধ্যে ২৫ রান করেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এর মাঝেই ফিরে গেছেন তামিম, সাকিব, মুশফিক। এই তিন স্তম্ভকে হারিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা শ্লথ হয়ে যায়। ২৮ ওভারের পর ওভারে ৬ বা এর বেশি রান নিতে পেরেছে মাত্র ৮ বার। অথচ এই সময়েই তো ঝড় তোলার কথা ছিল বাংলাদেশের! হাতে ছিল ৮ উইকেট।
কোহলির কেদার-জুয়াটা দারুণভাবে লেগে গেল বলেই পথ হারাল বাংলাদেশ। ১২৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির পর বাংলাদেশ ছুটছিল দুরন্ত গতিতে। ৭০ রান করে তামিম ইকবাল ফেরার পরও আঁচটা সেভাবে গায়ে লাগেনি। উইকেটে তখন ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
কিন্তু কাট করতে গিয়ে সাকিব ফিরলেন ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। পরের ওভারেই এর চেয়ে বাজে এক শট খেলে আউট হয়েছেন মুশফিক। কেদার যাদবের ফুল টসে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক (৬১)। দুটি ঘটনাই ঘটল ৭ বলের ব্যবধানে।
এই ৭ বল সব গড়বড় করে দিল। বাংলাদেশ অবশ্য সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ করবে ২৮তম ওভারের শেষ বল থেকে ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত ৪৫ বলের সময়টা নিয়ে। এ সময় ২৫ রানের মধ্যে ফিরে গেছেন তামিম, সাকিব, মুশফিক। এই তিন স্তম্ভকে হারিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা শ্লথ হয়ে যায়। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকও পরিস্থিতি সামলে নিতে পারেননি। ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল ৭ উইকেটে ২২৯। যেটি ছিল ২ উইকেটে ১৫৯!
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই রান পাননি সৌম্য-সাব্বির। জ্বলে উঠতে পারেননি আজও। পরে বাংলাদেশের স্কোরের পাশে জরিমানার ৫ রান যোগ হওয়ায় যেটি দেখাচ্ছে ৩৬ রানে ২ উইকেট।
ভাগ্যকে আজ পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। হাফ চান্সগুলো পক্ষে ছিল। তামিম নিজে যেমন বোল্ড হয়েও একবার বেঁচে গেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া নো বল করায়। এমনকি ধোনির কারণে পাওয়া ৫ রানের জরিমানাটিও। কিন্তু এর সবোর্চ্চ ফায়দা কি নিতে পারল বাংলাদেশ? প্রশ্নটা থেকে গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *