এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ গত ২৮ মে (রবিবার) শুরু হয়েছে মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বরকতময় মাস মাহে রমজান। আর এই পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের চারপাশের বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারি ও মৌসুমি দোকানীরা রাস্তার আশেপাশে বসিয়েছে ইফতার সামগ্রীর দোকান।
হরেক রকম বাহারি ইফতারি পণ্য নিয়ে বসেছে এসব ইফতার সামগ্রীর দোকানগুলো। তবে খাবারের মান ও তৈরির পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান রোজাদারেরা। তাদের কথা, দাম যাই হোক না কেন, তা হতে হবে মানসম্মত।
ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন বাজার এবং এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারিগুলোতে চলছে বাহারি ইফতার সামগ্রী বিক্রয়ের প্রস্তুতি। কেউ কেউ রাস্তার ধারে খোলা অবস্থায় বিক্রয় করছে এসব ইফতার পণ্য, আবার কেউ মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর ইফতার পণ্য বিক্রয়ের জন্য ঢেকে রেখে বিক্রি করছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রোড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ময়লা-আবর্জনার স্তুপগুলোর পাশেই বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারি ও মৌসুমি দোকানীরা বসিয়েছেন ইফতার সামগ্রীর ছোটবড় দোকান। মহাসড়ক ও ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর পাশেই এসব দোকানের উপস্থিতি সবথেকে বেশি।
রাস্তার পাশ দিয়ে যানবাহন চলাফেরার কারণে ময়লা-আবর্জনা, ধুলোবালি উড়ে এসে পড়ছে ইফতার সামগ্রীর উপর এবং রাস্তার পাশের ময়লা আবর্জনার স্তুপগুলোর আশেপাশে ইফতার সামগ্রীর দোকানগুলো বসানোর কারণে ইফতার সামগ্রী গুলোও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে যেসব বাহারি ইফতার সামগ্রী তৈরী হয়, তার অধিকাংশই তৈরি হয় নোংরা কিংবা খোলা পরিবেশে।
এমনকি রাস্তার পাশেই দোকান চালু অবস্থায় তৈরি করা হচ্ছে এসব ইফতার সামগ্রী, যেখানে সারাক্ষণ ময়লার স্তুপ জমে থাকে। যেন উড়ে আসা রাস্তার ধুলোবালিগুলোই হলো ইফতারি পণ্যের মূল উপাদান।
এ বিষয়ে দোকানীরা জানান, বেশিরভাগ খাবারই পরিস্কার হাতে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়েই তৈরী করা হচ্ছে।
কিন্তু ইফতার সামগ্রী তৈরির স্থানসমূহ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বেশিরভাগ হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারিতে নোংরা পরিবেশের মাঝেই তৈরি করা হচ্ছে এসব ইফতার সামগ্রী।
ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা মো. রাকিব আল রিয়াদ জানায়, সুস্বাদু ইফতারের টানেই কোনকিছু বিবেচনা না করে এসব বাহারি ইফতার সামগ্রী কিনি।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আর.এম.ও ডা. সুব্রত কুমার সেন জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হওয়া ও খোলা অবস্থায় থাকার থাকার কারণে এসব খাদ্যদ্রব্য খেলে রোগজীবাণুর আক্রমণ ঘটে। এতে বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
প্রশাসন জানায়, ইফতার সামগ্রীর সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখলেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।