দেশের প্রথম বায়ুগ্যাস চুল্লি নির্মাণ হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে। নগরীর বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে এর ঘাটতি কমাতে নতুন সংযোজন হবে এ চুল্লি।
চুল্লি নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মালয়েশিয়ার রিনিউঅ্যাবল এনার্জি সোর্সেস এসডিএন ডটবদ এবং বাংলাদেশের ওয়েল ট্রেইড। আর এ প্রকল্পকে বিনিয়োগ করা হবে ১৬ মিলিয়ন ডলার।
বায়ুগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুতের সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। নগরীর বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে সম্পদে পরিণত করা হবে এর মাধ্যমে।
সূত্র জানায়, কী পরিমাণ বর্জ্য পাওয়া যায় তার ওপরই চুল্লিটির উৎপাদন নির্ভর করবে। নতুন এই প্রকল্পের সফলতার পরই ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় এ চুল্লি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
ওয়েল গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রধান নির্বাহী সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের নগরগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি খুব খারাপ মানের। এ বিষয়ে আমরা নগর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারি।”
তিনি বলেন, “আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ছোট চুল্লির দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। ভবিষ্যতে বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে বড় বড় চুল্লি নির্মাণেরর পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।”
রিনিউঅ্যাবল এনার্জি সোর্সেস এসডিএন ডটবদ-এর পরিচালক ফু চেয়ং সেং বলেন, “নগর কর্তৃপক্ষ বর্জ্য সংগ্রহ করার পর তা কাজে লাগিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।”
বাণিজ্যিকভাবে পৌরসভা কঠিন ও গৃহস্থালীর বর্জ্য বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে। ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ’ প্রকল্পের আওতায় গত সোমবার বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রতিষ্ঠান চুক্তি স্বাক্ষর করে। হোটেল রয়েল চোয়ানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও ভিক্টর কোয়ান ওয়াই। অনুষ্ঠানে ফু চেয়ং সেং ও ওয়াসিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি।