.
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট নগরীতে সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান জোরেশোরে চলছে। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন।
নিয়মিত ফুটপাত হকার মুক্তের অভিযান চালানো হলেও ফুটপাত দখল করছে অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড। বন্দর বাজার ও আম্বরখানা এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর নগরীর চৌহাট্টা এলাকার ফুটপাত দখল করে নিয়েছে সুবিধাভোগী গাড়ির চালকেরা।
সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত ফুটপাত এখন অবৈধ কার-মাইক্রো স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। স্ট্যান্ডের গাড়ি চালকদের দাবী এ স্ট্যান্ড বৈধ। কারো ক্ষমতা নেই এই স্ট্যান্ড উচ্ছেদের। গাড়ি চালকরা সাধারণ পথচারিদের চলাচলের পথ বন্ধ করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখায় একদিকে সাধারণ মানুষের হাঁটাচলা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ফুটপাতের বদলে রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা।
ফুটপাত দখলের ফলে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। কয়েকদিন আগে ঐ এলাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে দখল মুক্ত করলেও ৩ দিনের ব্যবধানে তা আবার দখল করে নিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। আর এ দখলের ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে সাধারন জনগণের মনে।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দখল মুক্ত অভিযান নিয়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার পূর্ব দিকের ফুটপাত থেকে শুরু করে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্মুখ ভাগের ফুটপাত দখল করে শ্রমিক নেতাদের যোগসাজশে বসানো হয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। দুপুরে অবৈধ স্ট্যান্ডের ছবি তুলতে গেলে স্ট্যান্ডের এক গাড়ি চালক জানান, এখানে ছবি তোলে কি হবে? মেয়রও আমাদের কিছু করতে পারবে না।
চৌহাট্টা ষ্ট্যান্ডের এক গাড়ি চালক জানান, এটা তাদের বৈধ স্ট্যান্ড। সিসিক থেকে সব ফুটপাত দখল মুক্ত করলেও এখানে কোন অভিযান পরিচালনা হয়নি। তিনি আরো জানান, এসব নিয়ে পত্রিকায় নিউজ কয়েকবার হয়েছে। এতে তাদের কিছুই হয়নি। আর তাদেরকে এখান থেকে সরানোর ক্ষমতা স্বয়ং মেয়রেরও নেই।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই এলাকায় কোথাও কার-মাইক্রো স্ট্যান্ড বসানোর বৈধতা নেই। এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।