গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বগুড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও তানোর থানা-পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান শুরু হয়।
আজ সোমবার সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। আটক করা ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, ওই বাড়িতে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও অস্ত্র রয়েছে। ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এলে এগুলোর সন্ধানে অভিযান চালানো হবে।
আটক করা সন্দেহভাজন তিন জঙ্গি হলেন, তানোর উপজেলার পাঁচন্দর এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ইসরাফিল আলম (২৬), তাঁর বড় ভাই ইব্রাহিম (৩৪) ও ভগ্নিপতি রবিউল ইসলাম (৩৫)। রবিউলের বাড়ি উপজেলার বনকিশোর গ্রামে। জানা গেছে, ইসরাফিল একজন হোমিও চিকিৎসক। স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে তিনি ফাজিল পাস করেছেন। ইব্রাহিম সার ব্যবসায়ী। তাঁর ভগ্নিপতি রবিউল ইসলাম কাঠমিস্ত্রি।
হেফাজতে নেওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন, ইসরাফিলের বাবা রমজান আলী (৫৫), মা আনোয়ারা বেগম (৫০), ইব্রাহিমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০), ইব্রাহিম ও মর্জিনার তিন শিশু সন্তান তামান্না (১০), তাসকিরা (৪) ও তানসিরা (৬ মাস)। আরও আছেন রবিউলের স্ত্রী হাওয়া বেগম (২৩) ও তাদের তিন মাসের মেয়ে শিশু এবং ইসরাফিলের স্ত্রী। তাঁর নাম জানা যায়নি।
আজ সকালে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা জানান, রাত আড়াইটার দিকে কৌশলে ওই বাড়ি থেকে জঙ্গি সন্দেহে প্রথমে তিনজনকে আটক করা হয়। সকাল হলে অন্যদের আটক করে থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, বাড়ির ভেতরে কীভাবে বোমা বা সুইসাইডাল ভেস্ট রেখে দেওয়া হয়েছে তা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। এ জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে সঙ্গে না নিয়ে ভেতরে ঢোকা যাচ্ছে না।