১৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি

Slider শিক্ষা
 a4596cf1ab9c4dc6d02bc8b3cda41881-593d69c5ed78f


 

ঢাকা: উচ্চশিক্ষায় ভর্তিকে সামনে রেখে মামলা-মোকদ্দমা, মালিকানায় দ্বন্দ্বসহ নানা সমস্যায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ রোববার ইউজিসির ওয়েবসাইটে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা থাকার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য ৫টি নতুন, যেগুলোতে এখনো ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা আছে। সরকার বন্ধ করলেও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। এর মধ্যে কুইন্সকে এক বছরের জন্য সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলেও তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে মামলা চলছে।

অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং। এর মধ্যে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ ছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আদালতে মামলা বিচারাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবাইস ছাড়াও আছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম বা ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ঢাকা, কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি। এগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছে।
আর গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে কমিশন থেকে গত ২৬ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করে রিট দায়ের করলেও আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে গণবিশ্ববিদ্যালয় আবারও রিট করে। ইউজিসি জানিয়েছে আদালত থেকে মামলার আরজি উঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৪ জুন আইনজীবীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস, স্টাডি সেন্টার স্থাপন এবং পরিচালনার অনুমতি দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। এ জন্য কোনো বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে সতর্ক করেছে ইউজিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *