এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের বাজুনিয়া এলাকায় মৎস্য ঘের কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের বাজুনিয়া গ্রামে মৎস্য ঘের কাটাকে কেন্দ্র করে সাকা কাজি ও শামীম সরদারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। রাতের আধারে সাকা কাজি তার দলবল নিয়ে শামীম সরদারের নিজ ক্রয়কৃত জমিতে মৎস্য ঘের খনন করে। রবিবার সকালে শামীম সরদার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সাকা কাজি তার দলবল নিয়ে শামীম সরদারের উপর অতকির্ত হামলা চালায়। এতে শামীম সরদার, তার ভাই হামিম সরদার, ভাগ্নে সুমন সরদার ও ফেরদাউস গুরুতর আহত হয়। এরই এক পর্যায়ে শামীম সরদারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের আরো প্রায় ৯/১০ জন আহত হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই আসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ শামীম সরদারকে উদ্ধার করে। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানার এস আই মুজাহিদ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে আহত শামীম সরদারের ভাই জাকির সরদার সাংবাদিকদেরকে জানান, সাকা কাজি তার দলবল নিয়ে রাতের আধারে শামীম সরদারের নিজ ক্রয়কৃত জমিতে মৎস্য ঘের খনন করে খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে তারা রামদা, বর্শা, ঢাল, সড়কি নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে এবং আমাদের মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে ঘরবাড়ী ভাংচুর, ব্যবসার জন্য মজুতকৃত মৎস্য খাবার, মাছের ঔষধ, ২টি মটর সাইকেল, তিনটি ঘর, ৬টি শ্যালো মেশিন ভাংচুর করে এ ছাড়াও ঘেরে থাকা অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ, উক্ত জমিতে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়।