নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন কার্যকর হলে বাড়বে এলপি গ্যাসের দাম। ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে বিক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব শুরু হলে এ খাতে ভ্যাটের পরিমাণ সিলিন্ডারের আকার ভেদে ১ হাজার ২৮ শতাংশ থেকে ১ হাজার ৫৮৯ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফলে এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের সিলিন্ডার ভেদে ৫৪ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ব্যয় বহন করতে হবে। এ অবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিবেচনায় এলপি গ্যাসের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি চান ব্যবহারকারী ও উদ্যোক্তারা। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান মাহবুব আলম বলেন, সরকার এলপি গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এলপি গ্যাসে ভ্যাটের হার বেড়ে যাওয়ায় এই প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে যাবে। কারণ দাম বাড়লে এলপিজির ব্যবহার জনপ্রিয় করতে সরকারের সকল কার্যক্রম ব্যাহত হবে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ভ্যাট নির্ধারণে বিদ্যমান পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১০ কেজি আকারের সিলিন্ডারের ট্যারিফ মূল্য ধরা হয় ৩৫ টাকা। এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয় ৫ টাকা ২৫ পয়সা। ভ্যাট ছাড়া এই আকারের প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের বিক্রয় মূল্য ৩৯৭.৭৫ টাকা। ভ্যাটসহ ব্যবহারকারীদের কাছে এই সিলিন্ডার ৪০০ টাকায় সরবরাহ করা হয়। একইভাবে বর্তমানে ১১ থেকে ৩০ কেজি আকারের সিলিন্ডারে ৯ টাকা ভ্যাটসহ সরবরাহ মূল্য দাঁড়ায় ৮৯৭ টাকা। ৩১ থেকে ৪৫ কেজির সিলিন্ডারে ভ্যাট ১৮.৭৫ টাকা। এই সিলিন্ডারের সরবরাহ মূল্য দাঁড়ায় ২ হাজার ১৩০ টাকা। অন্যদিকে নতুন পদ্ধতিতে বিক্রয় মূল্যের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের ফলে ৫ থেকে ১০ কেজি আকারের সিলিন্ডারে ভ্যাট আদায় করা হবে ৩১৬ টাকা ৬৯ পয়সা। এতে এই সিলিন্ডারের সরবরাহ মূল্য দাঁড়াবে ৪৫৪ টাকা- যা বর্তমানের তুলনায় ৫৪ টাকা বেশি। একইভাবে নতুন হারে ১১ থেকে থেকে ৩০ কেজি আকারের সিলিন্ডারে ভ্যাট ১৩৩ টাকা ২০ পয়সা এবং সরবরাহ মূল্য ১ হাজার ২১ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়াবে যা বর্তমানের তুলনায় ১২৪ টাকা বেশি। ৩১ থেকে ৪৫ কেজি আকারের সিলিন্ডারে ভ্যাট ৩১৬ টাকা ৬৯ পয়সা ও সরবরাহ মূল্য ২ হাজার ৪২৭ টাকা ৯৪ টাকায় দাঁড়াবে। এই আকারের সিলিন্ডারে দাম বাড়বে প্রায় ৩০০ টাকা।