গ্যালারি থেকে উঠছে ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ স্লোগান, একটি চার-ছক্কা কিংবা একটি সিঙ্গেল হলেও উল্লাসধ্বনি—বিভ্রম জাগছিল বারবার। খেলা আসলে হচ্ছে কোথায়? এমন সমর্থন পেলে ভালো খেলার জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণার তো দরকার হয় না। মাশরাফিও স্বীকার করে নিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকদের গুরুত্ব। ম্যাচ শেষে মাঠে দাঁড়িয়েই বলেছেন, ‘সমর্থকেরা দুর্দান্ত ছিলেন। তাঁরা সব সময় আমাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ওভালে যখন খেলেছি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তখনো অনেক সমর্থন ছিল; এখানেও তাই। অনেককেই লন্ডন কিংবা আরও অনেক দূর থেকে আসতে হয়েছে। তবু তাঁরা এসেছেন, সমর্থন দিয়েছেন।’
কালকের জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহও আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই আবেগী সমর্থকদের, ‘আবহটা খুব ভালো ছিল। সমর্থকদের আলাদা করে ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁরা সবাই ইংল্যান্ড থেকে এখানে এসেছেন, তাদের ধন্যবাদ।’ তবে এ সমর্থন যেন সব সময় থাকে সে আশাও করছেন মাশরাফি। দেশের ক্রিকেটকে যে এমন আবেগী সমর্থকেরাই এগিয়ে নিচ্ছেন, ‘আশা করছি তাঁরা এটা চালিয়ে যাবেন। কারণ আমার ধারণা, তাদের কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: আইসিসি।
সমর্থকদের ধন্যবাদ দিলেন মাশরাফি
কার্ডিফকে বাংলাদেশ ‘ঘরের মাঠ’ বানিয়ে ফেললেই পারে। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-বধ কাব্য লেখা হয়েছিল এই কার্ডিফেই। প্রায় এক যুগ পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা হলো ওয়েলসের মাঠটিতেই। ‘ঘরের মাঠ’ হোক বা না হোক, কাল কিন্তু কার্ডিফকে মনে হচ্ছিল এক টুকরো বাংলাদেশই। সমর্থকদের চিৎকার উল্লাসে মনে হচ্ছিল কার্ডিফ নয়, ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামেই বোধ হয় হচ্ছে এ ম্যাচ। সমর্থকদের এমন ভালোবাসায় সিক্ত মাশরাফি ম্যাচ শেষে তাই ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।