হাফিজুল ইসলাম লস্করঃ সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার আদিনাবাদ,কোনাগ্রাম,বারইগ্রাম, দত্তগ্রাম সুরমা নদীর তীরে অবস্তিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই গ্রাম গুলো।
এছাড়াও প্রাচীনতম একটি বাজার রয়েছে ঐ এলাকায়। সুরমা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ঐ এলাকা।
বর্তমানে ঐ এলাকার নদী ভাঙ্গনের চিত্র ভয়াবহ। নদীর তীরবর্তি প্রায় ১৫ হাজার গ্রামবাসী ভিটেমাঠী ছাড়ার প্রহর গুনছেন।
যদিও একসময় জেলে অধ্যুষিত এ গ্রামগুলোর মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম ছিল নদী। কিন্তু কালের আবর্তে নদী ভাঙ্গনের ফলে জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন সেই প্রিয় সুরমা নদীই আজ তাদের জীবনে এক মূর্তিমান আতংক হয়ে দেখা দিয়েছে।
প্রতি বর্ষামৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ফলে ভিটেমাটি হারিয়ে নিংস্ব হচ্ছে কোন না কোন পরিবার। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তাদের বেচে থাকার আশা।
ঐ এলাকার মধ্যে সবচাইতে ঝুকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ডেলাখানী কোনাগ্রামের প্রায় ৭০০ পরিবার নদী ভাঙ্গনের মারাত্বক ঝুকির মধ্যে রয়েছেন।
গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও ভাঙ্গনের প্রতিক্ষায় প্রহর ঘুনছে। এর প্রায় দু বছর আগে ডেলাখানী কোনাগ্রামের রাস্তাটি ভেংগে নদী গর্ভেবিলীন হয়ে যায়। তখন নিরুপায় হয়ে গ্রামের লোকজন পাশ্ববর্তি কবরস্তানে উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করে যাতায়াত করে আসছেন। বর্তমানে এই রাস্তাটি ও কবরস্হাও ভাঙ্গনের মারাত্বক ঝুকির মাধ্যে রয়েছে।
এলাকা জনসাধারণ নদী ভাঙ্গনের কড়ালগ্রাস থেকে যেন তাদের গ্রাম, রাস্তা ও কবরস্থান রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।