.সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের ওসমানীনগরবাসী অসহনীয় লোডশেডিং আর ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভ্যাপসা গরম কিছুতেই কমছে না। দিনে যেমন রোদের খড়তাপ তেমনি রাতে বইছে গরম হাওয়া। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে অসহনীয় লোডশেডিং।
পবিত্র মাহে রমজান মাসে ২৪ ঘন্টার প্রায় ১৪ ঘণ্টাই বিদ্যুত বিহীন থাকে গোটা ওসমানীনগর। বিদ্যুতের এমন ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। বিদ্যুতের দাবীতে অনেকবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছিল উপজেলাবাসী। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
প্রায় প্রতিদিন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৫২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুতের তেলেসমাতির শিকার। সেহরী, ইফতার আর তারাবীর সময় তো কথাই নেই। বিদ্যূৎ ! এই আছেতো এই নেই। হরদম চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। লোডশেডিং নামক এ যন্ত্রণা এ সময় বেড়ে যায় বহুগুন। আর এ নিয়ে রোজাদার, মুসল্লিদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ।
রোজাদার মুসল্লিরা সারাদিন রোজা রেখে ইফতারী সামনে নিয়ে খাবার টেবিলে বসার সাথে সাথেই কোন কোন এলাকায় প্রায় দিনই কোন পূর্বাভাস ছাড়াই আচমকা বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার প্রায় প্রতিদিনই তারাবী’র নামাজ শুরুর আগে বা মুসল্লিরা নামাজরত অবস্থায় বিদ্যুত চলে যায়।
অপরদিকে সাহরী, একজন রোজাদারের সারাদিনের পূর্ব প্রস্ততির এ সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অতিষ্ট করে তুলছে রোজাদারদের। ক্ষতি দেখা দিয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছিন্ন না হলেও মাস শেষে ভূতুড়ে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে হয়।
উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুক আহমেদ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা গ্রাহকেরা রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
উপজেলাবাসী পবিত্র মাহে রমজান মাসে বিশেষ করে সেহরী, ইফতার, তারাবির নামাজের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যূতের দাবী জানিয়েছেন।