ঢাকা: সহায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বলেছেন, নির্বাচন দিলেই দেখা যাবে, তারা কোথায় অবস্থান করছে। ব্যাপারটা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই এবং তারা পুরোপুরিভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা খুব ভালো করেই জানে, যদি সহায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় ৩০টার বেশি আসন পাবে না। তাই একেক সময় একেক ধরনের কথা বলে যাচ্ছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায়ত তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সরকার হ্যাট্রিক ‘জয়’ করবে বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যকে পলিটিক্যাল রেটোরিক বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেছেন, তাদের বাধ্য হয়ে এসব কথা বলতে হচ্ছে। যেটাকে আমরা বলি ‘পলিটিক্যাল রেটোরিক’। এ সমস্ত রেটোরিক নিয়ে তো রাজনীতি হবে না, জনগণকেও বোকা বানানো যাবে না। মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নেই। সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন। দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষা করছে। তাই এবার নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে এবং সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণ আওয়ামী লীগকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ তুলে ধরে মির্জা আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন, ধর্মহীনতা তিনি বিশ্বাস করতেন না। বিএনপি জিয়ার সেই দর্শনে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা কোনো সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বাস করি না। এর মূল উৎপাটনে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশে বর্তমানে কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ ও তার সম্পত্তি নিরাপদ নয় মন্তব্য করে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার’ সংগ্রামে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে¡ ও অমলেন্দু দাশ অপুর পরিচালনা এ আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সঞ্জীব চৌধুরী, ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কু-ু, নুকুল চন্দ্র সাহা, জন গোমেজ, রমেশ দত্ত, সুশীল বড়ুয়া, দেবাশীষ রায় মধু বক্তব্য দেন। পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।