দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
আদেশের পর আইনজীবীরা বলেন, গত ১ জুন থেকে গ্যাসের বাড়তি দাম কার্যকর করতে আপাতত আইনি বাধা নেই। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
শুনানির সময় আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্য পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
উল্লেখ্য, হাইকোর্ট গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি সদ্ধিানে্তর ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে প্রকৌশলী মোবাশ্বের হোসেনের রিট আবেদনের ওপর ওই আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গত ৩০ মে ওই আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতির আদালত।
গতকাল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিইআরসি দুই ধাপে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে দুই ধাপে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। প্রথম ধাপে (১ মার্চ থেকে কার্যকর) আবাসিক খাতে দুই চুলার জন্য ৮০০ টাকা ও এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে (১ জুন থেকে কার্যকর) যথাক্রমে ৯৫০ টাকা ও ৯০০ টাকা করা হয়।