চাঁদা না পেয়ে ৬৫ বছরের ব্যাক্তিকে মারধরের পর জুতার মালা পরিয়ে ঘুরিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন নবাবপুর ইউনিয়নের গুয়ালিয়া গ্রামের আবদুল আউয়াল (৬৫) নামে ওই ব্যক্তিকে জুতার মালা পরে ঘুরিয়েছেন। এ ঘটনার পর আউয়ালের গলায় জুতার মামলা পরা একটি ছবি দিয়ে রবিনের ফেবুকেও পোস্ট করা হয়। তবে রবিন বলেন, আমার আইডিটা কেউ হ্যাক করে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে। আমি পাঁচ ঘণ্টা পর আইডি উদ্ধার করেছি।
আউয়াল বলেন, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন প্রায়ই আমার কাছে চাঁদা চাইতেন। এর আগে তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আবার টাকা দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এর জেরে গত রোববার রবিনের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গ্রামের জালাল উদ্দিন মসজিদের সামনে বাজারে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরায়।
রবিনের ভাষ্য, আউয়াল দীর্ঘদিন ধরে নিজের বৃদ্ধ মাকে মারধর করে আসছিলেন। এ কারণে স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ গ্রামের গণ্যমান্য লোকজন এ ঘটনার বিচার করেছে বলে তিনি শুনেছেন। এবং তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেও জানান।
তবে আউয়ালের বৃদ্ধা মা ছেমনা খাতুন রবিনের অভিযোগ অস্বীকার বলেছেন, বিনা কারণে আমার ছেলেকে জুতার মালা পরিয়েছে রবিন। এখন আবার থানায় অভিযোগ করলে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনাগাজী থানার ওসি মো. হুমায়ূন বলেন, আউয়াল ও তার মা থানায় এসেছেন বলে শুনেছি, কিন্তু এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। নির্যাতিতরা মামলা করতে চাইলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করা হবে।