আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম থেকে সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। রবিবার সকালে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এডিজি এ কে নুরুল হুদা আজাদ এই জব্দ ও বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাদানের সার্বিক প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করছেন।
গুলশান ২ সুবাস্তু ভবনসংলগ্ন শো-রুমে ডিডি শরীফুল হাসান, সীমান্ত স্কোয়ারে ডিডি জাকির হোসেন, উত্তরায় ডিডি শামীমুর রহমান, গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেটে এডি আরজিনা খাতুন ও মৌচাক মার্কেটে ডিডি সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে এবং যুগ্ম পরিচালক মো. সফিউর রহমানের সমন্বয়ে এ প্রক্রিয়া চলছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গহনাসহ প্রায় ১৭৯ কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্তের কথা শনিবার রাতে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান। তিনি বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিকরা স্বর্ণের বৈধতার পক্ষে কোনো কাগজ দেখাতে না পারায় আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো জব্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বনানীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক। এই পরিবারের বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে তদন্ত শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।