মস্কো উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ‘ডুব’

Slider সারাবিশ্ব

fea42fbc2f01b87fd11038efc9927f2e-5931362861d9f

ঢাকা; ‘ডুব’ ছবির পোস্টারমোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত নতুন ছবি ‘ডুব’ যাচ্ছে রাশিয়ার ৩৯তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ছবিটি উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়াইয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। নয়টি দেশের ১০টি ছবির সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ডুব’। এসব তথ্য জানা গেছে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইট থেকে। এদিকে আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে ছবির পরিচালক ফারুকীর সঙ্গে কথা হলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ১১টি ছবির নাম ঘোষণা করে উৎসব আয়োজকেরা। প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশসহ স্থান পেয়েছে ভারত, রাশিয়া, জার্মানি, কোরিয়া, জাপান, ফিনল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, স্পেন, ডেনমার্ক ও চীনের ছবি।
রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ও সম্মানজনক এ চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসর বসছে ২২ জুন থেকে। উৎসব চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ডুব’ নির্বাচিত হওয়ায় খুশি নির্মাতা ফারুকী, ‘সিনেমা বানানোর আনন্দেই কিন্তু আমরা সিনেমা বানাই। নির্মাণের সময় সিনেমাটি কোনো প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হবে কি হবে না, তা মাথায় থাকে না। কিন্তু যখন এ রকম বড় প্রতিযোগিতায় আমার সিনেমা নির্বাচিত হয়, তখন অনেক বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করি। ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণার পাশাপাশি এখানে কিন্তু সমষ্টিগত অনুপ্রেরণার ব্যাপারও আছে। কারণ, সিনেমার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আমরা উপস্থাপনা করি।’
ফারুকী বলেন, ‘ডুব সিনেমাটি প্রতিযোগিতার প্রধান বিভাগে নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারাও অনুপ্রাণিত হবেন। আমি তো অবশ্যই খুব খুশি।’

‘ডুব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের তিশা, রোকেয়া প্রাচী ও ভারতের খ্যাতিমান অভিনেতা ইরফান খান। বাংলাদেশে এ ছবির প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ভারত অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ। ছবির সহপ্রযোজক ইরফান খান। নানা জটিলতার কারণে বাংলাদেশে ছবিটি এখনো সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। তাই আটকে আছে দেশে এ ছবির মুক্তি।
সেন্সর জটিলতার বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই ফারুকী বলেন, ‘এটা আসলে চরম দুর্ভাগ্য। আমরা যদি আজকে একটা কাট-পেস্ট বা তামিল ও তেলেগু সিনেমা বানাতাম, তাহলে হয়তো এত কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হতো না। আমি যে সিনেমা বানালাম, সেটি বাংলাদেশের সেন্সর নীতিমালা মেনেই করেছি। “ডুব” একটা নিরীহ মানবিক গল্পের সিনেমা। এটাকে নিয়ে যে জটিলতা তৈরি করা হলো, আমি মনে করি এটা অনভিপ্রেত। এটা বাংলাদেশের নতুন সিনেমার উত্থানের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তবে বাংলাদেশ সরকারের ওপর আমার আস্থা আছে। আমার বিশ্বাস দ্রুত সেন্সর জটিলতার সুরাহা হয়ে বাংলাদেশের ছবি বাংলার জনগণের কাছে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *