হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেটের নগরীর ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মাইকিং করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
কিন্তু তিনদিনের বেঁধে দেয়া আল্টিমেটাম অতিক্রান্ত হওয়ার পরও অবৈধভাবে ফুটপাত দখল ও অবৈধ ভাবে ফুটপাতে গড়ে ওঠা দোকানগুলো সরিয়ে না নেয়ায় স্বয়ং সিসিক মেয়র আরিফের নেতৃত্বে সিলেট নগরীর ফুটপাতকে দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বেলা ১১-১৫ মিনিটের দিকে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অংশগ্রহণ এই ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান চলে। অভিযানে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২৯ মে সোমবার সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদার, নেপথ্যে থাকা দখলদার ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় সনাক্তকরণের লক্ষ্যে সিলেটের বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জরুরী বৈঠক করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
জরুরী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
অবশ্য এর আগে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মে বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো জনগুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদার, নেপথ্যে থাকা দখলদার পক্ষের ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করতে সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ কাজে সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়।