ঢাকা; ব্যাংক হিসাবে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা থাকলে আবগারি শুল্ক বাড়ছে। বিদ্যমান হারে এক থেকে ১০ লাখ টাকা স্থিতি থাকলে ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক নেয়া হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে তা ৮০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো গ্রাহকের একাউন্টে এক লাখ বা তার বেশি অর্থ থাকলে বছর শেষে ওই একাউন্ট থেকে আবগারি শুল্ক হিসেবে ৮০০ টাকা কেটে নেয়া হবে।
এছাড়া ব্যাংকের দেয়া মুনাফার ওপর ১৫ ভাগ হারে কর এবং ব্যাংকের অন্যান্য সার্ভিস চার্জ যুক্ত হবে। বিদ্যমান মুনাফা হারে গ্রাহক এখন টাকা জমা রাখলে বছরান্তরে তার মূলধন বা মূলধনের প্রকৃত আর্থিক মূল্য কমে যাবে। এছাড়া এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি যুক্ত করলে ব্যাংকে টাকা রেখে গ্রাহক কোনো মুনাফার মুখ দেখতে পাবেন না।
এতদিন বছরের যেকোনো সময় ব্যাংক হিসাবে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকলে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হতো না। এখন ১ লাখ টাকার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে। ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত থাকলে আবগারি শুল্ক (এক্সাইজ ডিউটি) দিতে হবে ৮০০ টাকা, যা বর্তমানে রয়েছে ৫০০ টাকা। আর ১০ লাখের ওপর থেকে এক কোটি টাকায় বর্তমানে দেড় হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এখন তা বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে। এক কোটির ওপর থেকে পাঁচ কোটি রাখার ক্ষেত্রে বর্তমানে আবগারি শুল্ক দিতে হয় বছরে সাড়ে সাত হাজার টাকা। শুল্কহার বাড়ানোয় দিতে হবে ১২ হাজার টাকা। আর পাঁচ কোটি টাকার উপরে থাকলে এক বছরে আবগারি শুল্ক ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। বছরে একবার এই হার কাটা হবে।
ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর খবরে আগে থেকে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গতকাল বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শেষে তা জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে। তবে কর ও শুল্ক আরোপের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কিছুটা কাটছাঁটও হয়ে থাকে চূড়ান্ত বাজেটে।